রেডিও, টিভি, পত্রিকার অনলাইনের জন্য আলাদা নিবন্ধন লাগবে

কেবল স্বতন্ত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল নয়, রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল এবং আইপি টিভির জন্য সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে জানিয়ে অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগের নীতিমালার ৯টি অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ৫টি নতুন অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। “অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নিবন্ধন ফি, কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতারের নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রচারকাজ পরিচালনা এবং আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিওর সম্প্রচার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা (নীতিমালায়) ছিল না, এগুলো ইনক্লুড করা হচ্ছে।”

টেলিভিশন এবং বেতার নিউজ পোর্টাল চালাচ্ছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটার (টিভি-রেডিও’র পোর্টাল) অনুমতি নিতে হতো না। এখন নিতে হবে। আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না- সে জন্য এগুলো ঢোকানো হয়েছে।’‘তবে পত্রিকাগুলো যদি হুবহু (এক্সাটলি) কাগজে (হার্ডকপি) যা ছাপছে, সেটাই যদি অনলাইনে দিয়ে দেয় তাহলে কোনো অনুমতি লাগবে না। কিন্তু যদি কেউ ভেরিয়েশন করে তখন তাকে অনুমতি নিতে হবে। কারণ, অনেকেই এক্সাটলি তা দিচ্ছে না। অনলাইন ভার্সনে ভেরিয়েশন থাকলে লাইসেন্স নিতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রেডিও-টেলিভিশন তো অনলাইন করার জন্য নয়, তারা যে মাধ্যমে চালাবে সেই মাধ্যমে…, তারপর যদি অনলাইন করতে তাহলে রেডিও-টেলিভিশন দুটোকেই অনুমতি নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত সম্প্রচার কমিশন না হবে, ততক্ষণ তথ্য মন্ত্রণালয় যে কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে সেটাই হবে (কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবে)।’

২০১৭ সালের ৫ জুলাই জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর