চট্টগ্রামে ৩৮ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিল

চট্টগ্রামের ৩৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্স নবায়ন না করায় সেন্টার গুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিল করেছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটি তাছাড়াও বেসরকারি ৮টি হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও চেয়েছে।

পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের গত ১৯ আগস্ট এক চিঠিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হালনাগাদ লাইসেন্স না থাকায় এইসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হলো।

পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী বলেন, চট্টগ্রামের ৩৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন না থাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে।

তাছাড়াও কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের আরও ৮টি হাসপাতালের। এসব হাসপাতালে কোনো সমস্যা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।

মো. নুরুল্লাহ নুরী আরো বলেন, বেশ কিছু দিন আগে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহকে পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। পরে দেখা গেল- এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। শুধু যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই, তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে।

পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিল হওয়া ডায়াগনস্টিক সমূহ হলো-

হালিশহরের অর্গান হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চাঁন্দগাওয়ে রয়েল প্যাথলজি সেন্টার, মেডিকেল স্কয়ার, খুলশির সিইআইটিসি লেন্স প্রসেসিং ইউনিট, হামজারবাগের সিটি লাইফ ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, আগ্রাবাদ ও বন্দর এলাকার সানওয়ে মেডিক্যাল সেন্টারের দুটি শাখা।

মনসুরাবাদ, জামালখান এবং দেওয়ানহাটের সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের তিনটি শাখা, পাঁচলাইশ এলাকার দি হেলথ হোম প্র. লি., চকবাজারের উডল্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পাঁচলাইশ এলাকার চিটাগং কেমোথেরাপি সেল সেন্টার, উত্তর আগ্রাবাদের নিষ্কৃতি ক্লিনিক, আকবরশাহ এবং চাঁন্দগাও ইমেজ সূর্যের হাসি ক্লিনিক।

আন্দরকিল্লা এলাকার মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নতুন বাজার এলাকার কিউম্যাক্স হেলথ কেয়ার, হালিশহরের মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বন্দর ফ্রি বোর্ড এলাকার মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, বাকলিয়া ও কুলগাঁও অক্সিজেন মোড়ের ব্র্যাক যক্ষ্মা নির্ণয় কেন্দ্র, পতেঙ্গার কাঠঘর ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার।

হালিশহরের এম এন ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, ঈদগাঁ এলাকার মেডিসেভ প্যাথলজি ল্যাব, জামালখানের ল্যাব ওয়ান হেলথ সার্ভিসেস, সদরঘাটের পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি অ্যান্ড ডায়াগনসিস, কোতোয়ালি থানা এলাকার দি মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, আগ্রাবাদের মেডিসিন মেডিক্যাল সার্ভিসেস এবং প্যানাসিয়া ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রপার্টিজ লিমিটেড।

মেহেদীবাগের হরমোন ও ডিএনএ সেন্টার, কে বি ফজলুল কাদের রোড়ের কর্ণফুলী ব্লাড অ্যান্ড খেলা থ্যালাসেমিয়া সেন্টার, খুলশীর চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশন, নাসিরাবাদের বায়েজিদ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রবর্তক মোড়ের বাংলাদেশ আই হসপিটাল লি., কালুরঘাটের হেলথ লাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার মেডি মেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের অনিয়মের লাগাম টানতে গত ৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোবাবর (২৩ আগস্ট) ছিল বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের লাইসেন্স নবায়নের শেষ দিন।

সিদ্ধান্তে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করা না হলে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলতে দেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন বিষয়ে বলেন, আজ রোবাবর (২৩ আগস্ট) লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ার শেষ দিন। শেষ পর্যন্ত কতগুলো হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার আবেদন করেন তার একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এরপর কোনো প্রতিষ্ঠানের সমস্যা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বার্তা বাজার কে.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর