দিনেও জ্বলে তাড়াশ পৌরসভার বাতি

সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও বিরতিহীনভাবে চলছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার সৌন্দর্য বর্ধন নানা রঙের বাতি। এ যেন বাড়ির কর্তা ঘুমাচ্ছে আলোর পাহারায়।

এতে প্রতিদিন হচ্ছে বিদ্যুৎ অপচয়। বাতিগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পৌরসভার থাকলেও বন্ধ করার বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন পৌর কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ইফ্ফাত জাহান উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন রঙের বাতির ব্যবস্থা করেন। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় ২২টি ষ্ট্যাম্পে মোট ৮৮টি বাতি রয়েছে। ওই ৮৮টি বাতি দিন রাত ২৪ ঘন্টা বিরতিহীনভাবে জ্বলছে।

নিয়ম অনুযায়ী সন্ধ্যার পর বাতিগুলো চালু করে ভোর রাতে বন্ধের কথা থাকলেও তা কখনো করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। যার ফলে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে প্রতিনিয়তই। পৌরসভা থেকে বাতিগুলোর দেখভাল করার কর্মচারী নিয়োগ করা থাকলেও কর্মচারীরা তাদের সে দায়িত্ব পালন না করায় বাতিগুলো জ্বলছে আপন গতিতে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। সৌন্দর্য বর্ধন বাতিগুলোর নেই যেন কোন বিরতি, আর তাই তো দিনের বেলাতেও জ্বলছে। যদিও সূর্যের আলোয় ঢেকে আছে পৌরসভার কৃত্রিম আলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকজন জানান, এ সৌন্দর্য বর্ধন বাতিগুলো স্থাপনের পর থেকেই দিন রাত ২৪ ঘন্টা জ্বলে থাকে। শুধু মাত্র বিদ্যুৎ চলে গেলেই নিভে যায়।

এদিকে পৌরবাসির অভিযোগ তাড়াশ পৌরসভার কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া ক্ষমতার দাপটে নিজ ইচ্ছেমত অফিস করেন। ফলে পৌরবাসি তাদের কাংক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সচিব তার অফিস কক্ষের নেমপ্লেটে ‘ক’ শ্রেণি লেখা। তাড়াশবাসির প্রশ্ন উনি ‘ক’ শ্রেনীর পৌরসভার সচিব হয়ে তদবির করে কেন ‘গ’ শ্রেনীর পৌরসভায় বছরের পর বছর কর্মরর্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে তাড়াশ পৌর সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম ভূইয়াকে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ সে জন্য ছুটি নিয়ে বাসায় অবস্থান করছি। তবে দিনের বেলায় বাতির সুইচ বন্ধ রাখার কথা। বিষয়টি আমি এখনি দেখছি।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তাড়াশ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এমন ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এতে শুধু বিদ্যুৎ অপচয়ই হচ্ছেনা। দায়িত্বের অবহেলাও করা হচ্ছে।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর