শেরপুরে সরকারি রাজস্ব আদায়ে বাঁধা, ইজারাদারকে প্রাণনাশের হুমকি

সরকারী হাট-বাজার এর লোড/আন-লোডিং এর টোল(রাজস্ব) আদায়ে বাঁধা প্রদান করে ইজারাদার নবকুমার সুর্য(৩৫)কে প্রাননাশের হুমকী দিয়েছে কতিপয় দুস্কৃতকারীরা। সম্প্রতি এমনি এক ঘটনা বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী হাট এলাকায় ঘটেছে। এর প্রতিকার চেয়ে ইজারাদার বাদি হয়ে বগুড়া র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

ছবি: বার্তা বাজার।

অভিযোগে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী হাট-বাজার সরকার কর্তৃক টেন্ডার এর মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়। টেন্ডার পেয়ে জেলার গাবতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের মৃত মনি চন্দ্রের ছেলে নবকুমার সুর্য ইজারা পরিচালনা করে আসছে। উক্ত হাটের সরকারি নিয়মানুযায়ী পূর্বের ন্যায় গত ২৮ জুলাই সীমাবাড়ির ব্রীজ সংলগ্ন বটতলা বাজার এলাকায় মালামাল ভর্তিকৃত রিক্সা, ভ্যান, আটো, ইজিবাইক সহ সকল প্রকার গাড়ী হইতে লোড/আন-লোডিং এর টোল তুলতে যায়।

এসময় বেতগাড়ী(পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে কথিত রিক্সা/ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও চাম বক্করের নেতৃত্বে এনামুল কবির তালুকদার, সার্ভিস খান, আব্দুল হামিদ, সোলেমান, দুলাল হোসেন, নেকবরসহ কয়েকজন নেশাখোর ও উৎশৃঙ্খল ব্যক্তিরা হাটের ইজারাদার নবকুমারকে টোল আদায়ে বাধা দেয় এবং প্রানে মেরে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলার হুমকী দেয়।

বর্তমানে করোনার পরিস্থিতির ভয়াবহতায় পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি) মহাসড়কে চাদাবাজি বন্ধ করে দেয়ায় ওইসব দুস্কৃতিকারীরা হাটের টোল আদায়ে বাধা দিয়ে আসছে। এবং বলছে তাদরে টোলের টাকা দিতে হবে নইলে কেউ টোল আদায় করতে পারবেনা। এদিকে সরকারি হাটের নীতিমালা অনুযায়ী টোল আদায়ে কোন আইনী বাধা না থাকায় তা অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার টাকাধুকুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ খানের ছেলে মাসুদ রানা, সিমলার সুনীল পালের ছেলে বিমল পাল, সীমাবাড়ী’র মৃত হানিফের ছেলে রাসেল খান ওরফে সাজেদুল ইসলাম বলেন, ইজারাদার নবকুমার সুর্য্যকে টোল আদায়ে বাধা দিয়ে নিজেরাই ওই হাটের চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করতে চায় এলাকার রিক্সা/ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কতিপয় নেতা ও দুস্কৃতিকারীরা। সরকারি হাটের নীতিমালা অনুযায়ী টোল আদায়ে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও ওইসব দুস্কৃতিকারীরা স্থানীয় প্রভাব খাঁটিয়ে ইজারাদারের টোল(রাজস্ব)আদায়ের কাজে বাঁধার সৃষ্টি করছে।

এ ব্যাপারে ইজারাদার নবকুমার সুর্য বলেন, সরকারি টোল আদায়ে বাধা দিয়ে আসছে কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা। এদের এহেন কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ শাখা, র‌্যাব-১২সহ শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

বগুড়া ডিবি পুলিশেল অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম আলী বলেন, সরকারি হাটের নীতিমালা অনুযায়ী টোল আদায়ে কোন বাঁধা নাই। তবে কেউ বাঁধা দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর