তিতাসে গাড়ির তেল চুরির অভিযোগে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাটি কাটার শ্রমিককে গাড়ীর তেল চুরির অভিযোগ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের দাবি কেড়ির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকালে পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর উত্তর বাজারে হাজী মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের চেঙ্গাতলী গ্রামের মৃত সায়েদ আলী মুন্সির ছেলে মো. জাকির(৫৫) পরিবারের সবাইকে নিয়ে গৌরীপুর বাজারে ভাড়া থেকে মাটি কাটার কাজ করাসহ যখন যে কাজ পায় তাই করে জীবিকা নির্বাহ করে।
গতকাল সোমবার সকালে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আশরাফের ছেলে মিজান মিয়া জাকির কে মাটি কাটা থেকে ডেকে এনে মিজানের গ্রেজে নিয়ে তেল চুরির অভিযোগ দিয়ে পিটিয়ে গুরতর আহত করে এবং তার শরীর থেকে সিরিজ দিয়ে রক্ত রাখে বলে অভিযোগ করে জাকিরের স্ত্রী মিনু বেগম।
পরে আহতের লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে জাকিরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাজারের জান্নাত মেডিকেল সেন্টার নিয়ে গেলে ডাঃ মেহেদি হাসান প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে কিছুক্ষন পর জাকির মারা যায়। এবিষয়ে নিহতের স্বজন দিদার বলেন আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি জাকির আহত অবস্থায় পরে আছে। ঘটনা কি মিজানের নিকট জানতে চাইলে মিজান বলে জাকির আমার গাড়ী থেকে ১২০ লিটার তেল চুরি করেছে, তখন আমি বলি ঠিক আছে তাহলে তেলের টাকা দিয়ে দিবে তাকে ছেরে দে, এসময় মিজান ইনজেকশনের সিরিজ এনে জাকিরের আঙ্গুল থেকে দুই ফোটা রক্ত রেখে ছেরে দিলে আমরা এনে মেহেদি ডাক্তারের নিকট নিয়ে চিকিৎসা করাই তার কিছু ক্ষন পর মারা যায়।
এবিষয়ে মিজানের বাবা আলী আশরাফ চেয়ারম্যানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি কেড়ির বড়ি খেয়ে মারা গেছে তার পরও সাংবাদিক সাহেব ভালো করে একটু খবর নেন। ডাক্তার মেহেদি বলেন আমার এখানে নিয়ে আসলে আমি ব্যথার ইনজেকশন দিলে কিছুক্ষন পর সে কোথায় যেনো চলে যায় আনুমানিক ২০/২৫ মিনিট পর ফিরে এসে দোকানের সামনে বমি করতে থাকে এমন অবস্থা দেখে আমি সামনে গিয়ে কি হয়েছে জানতে চাইলে দুূর্গন্ধ পাই, মনে হলো কিছু একটা খেয়েছে।
এবিষয়ে দাউদকান্দি সার্কেল এএসপি আবু সালাম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে সুরুতহাল রিপোর্ট করে লাশ ফাড়িতে নিয়ে আসছি ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। তবে নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা মামলা নিয়ে নিবো।
বার্তাবাজার/এমকে