প্রদীপের অপকর্মে সহযোগিতা করেন সিএমপির বেশ কয়েক জন কর্মকর্তা

১৯৯৫ সালে বিএনপি শাসনামলের শেষ দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খানের অনুরোধে পুলিশের চাকরি পান প্রদীপ কুমার দাশ।

২৫ বছরে দেশ-বিদেশে করেছেন বিপুল সম্পদ। অভিযোগ পেশার দাপটে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি। দুদক বলছে, তার অপকর্মে কারো আনুকল্য আর সহযোগিতা রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানের অনুরোধ, তদবিরে পুলিশে নিয়োগ পান প্রদীপ কুমার দাশ। চাকরির বয়স ২৫ বছর। তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। প্রদীপের অপকর্মে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে আরো বেশ কজনের বিরুদ্ধে।

ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভয় পেয়ে যারা প্রদীপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তাদের সহযোগিতায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান টিআইবির। টিআইবি’র জাতীয় পর্ষদ সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেহেতু সাধারণ সময়ে বিচার পায় না। সরকার যেহেতু এই সময়ে এই মানুষগুলির বিচার করবে বলে মনে হচ্ছে, সেহেতু যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকে বিচার পাওয়ার মতো ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’

২০১৮ সালে প্রদীপসহ সিএমপির বেশ ক’জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করলেও তা মাঝপথে থমকে যায়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলা পর ফের নড়েচড়ে বসেছে দুদক।

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন,’তার সম্পদের পরিমান পুনরায় খতিয়ে দেখতে হবে। তাহলে জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদের পরিমাণ জানা যাবে।’

প্রদীপের পাশাপাশি চট্টগ্রামের আরো কয়েক পুলিশ সদস্যের ব্যাপারেও খোঁজ নেয়া শুরু করেছিল দুদক। সে তদন্তও বেশিদূর এগোয়নি।
-ডিবিসি নিউজ

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর