কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করবে পিবিআই

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে থানা হাজতে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটির তদন্তভার পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমান এই আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র সরকার (৪২), খালিদ শেখ (৪৫), সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহিনুর রহমান (৪২), কনেস্টবল মো. মিজান (৫২) ও সোর্স মোতালেব।

এর আগে, সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মো. সোহেল মীর নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, মামলার বাদী সোহেলকে গত ২ আগস্ট কোতোয়ালি থানা ওয়াজঘাট এলাকায় মামলার আসামিরা গতিরোধ করেন। এরপর আসামিরা তার দেহতল্লাশি করে তার পকেটে থাকা দুই হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে যায়। টাকা ফেরত চাইলে জেএমবি বানিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার পকেটে ২১৪ পিস ইয়াবা দিয়ে থানা হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আসলে আসামিরা তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবি করা চাঁদা না পেলে তাকে জেএমবি ও মাদক মামলায় চালান করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা আসামিদের দুই লাখ টাকা দেন। এরপর বাদীকে ননএফআইআর মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়। পরে বাদী হাজত থেকে বের হয়ে ঘটনা প্রকাশ করলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন আসামিরা।

ওই ঘটনায় বাদী দণ্ডবিধি আইনের ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১) (ক) (খ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

বার্তা বাজার / ডি.এস