হার্ট সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

মানব শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাবনা থাকে হার্ট নিয়ে। এটি বিকল হলেই মহাবিপর্যয় নেমে আসে জীবনে। তাই হার্ট সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে চলছে নানা ধরনের গবেষণা।

যদিও অনেকেরই ধারণা এক্সারসাইজ এবং হেলদি ডায়েটের মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সক্ষম। তবে একথা পুরোপুরি ঠিক নয়। এই দুটো টিপস ছাড়াও আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন। তাই এখন সময় এসেছে হার্ট সুস্থ রাখার জন্য মানতে হবে যেসব গবেষণা।

সুস্থ হার্টের জন্য মেনে চলুন এই নিয়ম :

ধূমপান ত্যাগ করুন: যখন হেলদি হার্টের জন্য ধূমপান ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে তখন আর কোনও প্রশ্ন বা সংশয় না রেখে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এই অভ্যাস অতি দ্রুত ত্যাগ করা উচিত। ধূমপানের ফলে ক্যানসার হয় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি হয়। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করুন।

প্রতিদিন এক কাপ আখরোট: প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ আখরোট-জাতীয় ফল খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনপ্রক্রিয়া কার্যকর হয়ে ওঠে। কেননা আখরোট-জাতীয় ফলে থাকে ওমেগা-৩ নামের চর্বি, যা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয় এবং এর ফলে দূষিত রক্ত নিয়মিত পরিসঞ্চালিত হয়ে হার্টের গতি স্বাভাবিক রাখে।

বেশি খান শিম, বরবটি: আলু কিংবা কলাই-জাতীয় খাবারের চেয়েও গুটিযুক্ত ফলধারী লতা, যেমন- শিম, বরবটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এগুলো রাখতে পারেন ওষুধ বিবেচনায়ও।

করুন মুঠোর ব্যায়াম: টানা চার সপ্তাহের মুঠো সঞ্চালন-প্রসারণ ব্যায়ামও আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। হাইপারটেনশন জার্নাল জানিয়েছে, এর মাধ্যমে আপনি রক্তের ঊর্ধ্বচাপ কমিয়ে আনতে পারেন প্রায় ১০ শতাংশ হারে।

দৌড়ান নিয়মিত: এটা একটা সাধারণ তরিকা। তবে হার্ট ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন কিলোমিটার করে দৌড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ছুড়ে ফেলুন এনার্জি ড্রিংকস: শক্তিবর্ধক এসব পানীয়কে ‘শত্রু’ হিসেবে গণ্য করুন। কেননা এসব পানীয় কোনোভাবেই আপনার কোনো ধরনের উপকারে আসবে না, উল্টো রক্তচাপ বাড়িয়ে মুহূর্তেই আপনাকে ধসিয়ে দেবে।

যৌন কার্যকলাপ বজায় রাখুন: হার্টের জন্য সেক্স উপকারী। শরীর সতেজ রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল যৌন কার্যকলাপ বজায় রাখা। এর ফলে শরীর থেকে প্রচুর হরমোন নিঃসৃত হয় ফলে স্ট্রেস কমে। স্ট্রেসের ফলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।

খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন: দৈনিক লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। খাদ্যে লবণের পরিমাণ বেশি থাকলে হাইপারটেনশন এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। লবণের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি আপনার জাঙ্ক ফুড খাওয়াও বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

ডার্ক চকোলেট খান: ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে ডার্ক চকোলেট কীভাবে খেলে হার্ট সুস্থ থাকে আপনার তা অবশ্যই জানা উচিত। রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো ডার্ক চকোলেট আপনাকে তৃপ্তি দেওয়ার পাশাপাশি আপনার হার্টকে সুস্থও রাখবে।

লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন: লিফট এবং এস্ক্যালেটরের যুগে আমরা সিঁড়ির ব্যবহার ভুলতে বসেছি। কিন্তু এইভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। আপনার রোজকার ওয়ার্কআউট রুটিনে সিঁড়ির ব্যবহার যোগ করুন। সুস্থ থাকুন।

মুখের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন: মুখের স্বাস্থ্য আপনার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য কেমন তার নির্দেশক। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে তা হার্টের খারাপ স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আপনার দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন এবং দাঁত পরিষ্কার রাখুন। আপনার দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে তা ক্যাবিটি ছাড়া অন্য রোগেরও নির্দেশক।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর