বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পাথর আমদানি নির্ভর এই বন্দরে পাথর বোঝাই ট্রাক প্রবেশে সময় নির্ধারিত থাকায় লোকসান হচ্ছে এমন অভিযোগে ভারতীয় রপ্তানীকারকরা পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বাংলাবান্ধায় ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা বেকার হয়ে পড়েছে।

করোনা পরিস্থিতির পূর্বে সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাথরের ট্রাক প্রবেশ করতো। করোনা পরিস্থিতির কারণে দুপুর ১২টার পর্যন্ত পাথর বোঝাই ট্রাক প্রবেশের সময় সীমা নির্ধারন করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র ১০০ ট্রাক পাথর আমদানী করারও নির্দেশনা দেয়া হয়।

ভারতের ফুলবাড়ি এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট ওয়েলফেয়ার আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামির বাদশা জানান, বাংলাদেশের স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ এবং ট্রাকের সংখ্যা নির্ধারণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত পাথর রপ্তানী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যান্য পোর্টের মতো বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের সময় সীমা নতুন করে নির্ধারন না করলে পাথর রপ্তানীকারকরা পাথর রপ্তানীতে অনিহা প্রকাশ করছে। অন্যান্য পোর্টে ট্রাক প্রবেশে কোন সময় সীমা বা সংখ্যা নির্ধারন নেই। তিনি আরও জানান, সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় পাথরবাহী ট্রাকসমূহ আনলোড করে ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে রপ্তানীকারকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

বাংলাবান্ধা সিএন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, বাংলাবান্ধা বন্দরটি পাথর নির্ভর। পাথর আমদানীর উপর এখানকার ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জড়িত। সরকার কোটি কোটি টাকারও রাজস্ব পায়। কিন্তু সময় নির্ধারন করায় ভারতীয়রা পাথর রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে।

পঞ্চগড় আমদানি রপ্তানিকারক আ্যসেসিয়শনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা ৪ টা পর্যন্ত থাকলেও বাংলাবান্ধায সময় সময়সীমা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা কম হওয়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পাথর রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পোর্ট ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে গত ৫ আগস্ট থেকে বন্দরে আমদানি রপ্তানি চালু হয়েছে। পাথর বাদ দিয়ে বাকি সব পণ্য আনদানী রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর