বেশি বুইঝো না, আজকালকার পোলাপান বেশি বুঝে

আমার বন্ধু শামীমের এক বন্ধুর দূর সম্পর্কের চাচা কখনোই অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পূণ্যের কাজ করতেন না। তিনি সবসময় বেতনের হালাল টাকা জমিয়ে রাখতেন, অন্য টাকা খরচ করতেন! সেই জমানো হালাল টাকা দিয়ে কুরবানীসহ অন্যান্য পূণ্যের কাজ আদায় করতেন!

শামীমের বন্ধু চাচাকে বলেছিল, অসৎ অর্থের ফলাফল হিসেবেই তার বেতনের জমানো টাকা এসেছে কাজেই এটি হালাল নাহ, তিনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হইয়া কহিয়াছেন, “বেশি বুইঝো না, আজকালকার পোলাপান বেশি বুঝে”

শুধু ইহাই নয়, দুয়েকটি প্রতিষ্ঠান যারা জানেনও যে চাচার অর্থে ঝামেলা আছে তথাপি বিভিন্ন উৎসবে ও দুঃস্থদের সহায়তায় চাচাকে ঘিরেই অনেক আয়োজন রাখে এবং সমাজসেবা চালায়! সেখানে চাচাকে নিয়ে মানপত্র পাঠ করে তার চারিত্রিক বিশুদ্ধতার সনদ দেয়া হয়।
চাচা অবশ্য এখন অবসরপ্রাপ্ত হয়ে দিব্যি সৎপথে চলার রাস্তা বাতলে দিচ্ছেন সকলকে, এতে যদি নেকি হাসিল হয় মন্দ কি! বিষয়টা অতীব সুন্দর নাহ।

মহান আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি করতে চাইলে নিজেকে পরিপূর্ণ না পারলেও জ্ঞাত শুদ্ধতার আশেপাশে রাখুন! যে কুরবানি নিয়ে আপনার প্রতিবেশিই সন্দিহান থাকে সেই কুরবানি মহান আল্লাহ কবুল করবেন তো?

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, পল্লবী জোন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিএমপি)।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর