ইবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিভ্রান্তি নিরসনে পেশাজীবি সংগঠনের বিবৃতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ঘটনায় সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন ও এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি পেশাজীবি সংগঠন ।

রবিবার (২৬ জুলাই) নির্বাচিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ (অফিসার ইউনিট) নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে পৃথক পৃথকভাবে এ বিবৃতি প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষে এর সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ সাইদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা জামাল এক বিবৃতিতে বলেন, গত ২৫/০৭/২০ তারিখ কুষ্টিয়া শহরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর অপসারণ চেয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি যে, এই ঘটনার সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয় এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ একটি আদর্শিক সংগঠন এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ সমর্থনও করেনা। আশা করি, এই ঘটনার পর সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান হবে।

অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন খান এবং সদস্য সচিব মোঃ আব্দুল হান্নান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ২৫/০৭/২০ তারিখ কুষ্টিয়াতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর অপসারণ চেয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে কর্মকর্তা সমিতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘অফিসার এসোসিয়েশনের’ নামে একটি বৃহৎ সংগঠন রয়েছে। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী এর সততা স্বচ্ছতায় উন্নয়নমূলক ও প্রগতিশীল কর্মকাণ্ডে নজর রাখছি এবং সন্তোষ প্রকাশ করে ইতোপূর্বে বিবৃতি দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি যে, অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে উপাচার্যকে বিতর্কিত করার মতো কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অফিসার এসোসিয়েশন’ কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয় এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমরা সমর্থন করি না। আশাকরি এই ঘোষণার পর সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান হবে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অফিসার ইউনিটের সভাপতি আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৫/০৭/২০ তারিখ কুষ্টিয়াতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর অপসারণ চেয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি যে, এই কর্মকান্ডের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয় এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ সমর্থন করেনা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ অফিসার ইউনিট মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী স্যারের প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধারা অব্যাহত রেখেছে তার জন্য (ইবি) পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। শুধু তাই নয় (ইবি) ইতিহাসে এই প্রথম একজন ভাইস চ্যান্সেলর সফলতার সাথে সরকারের পবিত্র অর্পিত দায়িত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর বিরুদ্ধে অসত্য মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট গল্প সাজিয়ে দুর্নীতিবাজ বলে মানববন্ধনে কুরুচিসম্পন্ন বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অফিসার ইউনিট ঘৃণা ও তীব্র নিন্দা জানাই। আশা করি, এই ঘটনার পর সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই কুষ্টিয়ার এনএস রোডে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর অপসারণ চেয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কর্মকর্তা সমিতির ব্যানার ব্যবহার করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের ফলে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনে সংগঠনগুলো এ বিবৃতি প্রদান করেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক, ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে বা কোন ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য ইবি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর