টেকনাফে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশটি হাফেজ উসমান, ইয়াবার লেনদেনের কারনে খুনের দাবী স্বজনদের

ফলো আপ:কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ হতে উদ্ধার হওয়া গুলিবিদ্ধ লাশের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। নিহতের স্বজনদের দাবী ইয়াবার টাকার লেনদেনের সূত্র ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।

নিহত যুবক মিয়ানমার মংডু থানার পেরামপুরু এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে হাফেজ উসমান। নিহতের স্বজনরা মুটোফোনে জানান, বিগত ২০১০ সালের দিকে হাফেজ উসমান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে।

পরবর্তীতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার মৃত মুসা আলীর পুত্র খাইর হোছনের বাড়িতে গৃহ শিক্ষক হিসেবে ছিলো। কয়েক বছরের মাথায় হাফেজ উসমানের পরিবার ও খাইর হোছনের পরিবারের সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গেলো ২০১৩ সাল থেকে দুই পরিবারই মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ে।

নিহতের পরিবারের দাবী, মাদকের চালান বাবদ হাফেজ উসমান খাইর হোছনের কাছে বেশ কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। পাওনা চাইতে গিয়ে খাইর হোছনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের সূত্র ধরে গত ২ মাস পূর্বে খাইর হোছন উসমানকে গুম করে রাখে। পরে উসমানের পরিবারের মধ্যস্থতায় আবার উভয়ের মধ্যে কারবার শুরু হয়।

সর্বশেষ গত ১১জুলাই উসমান খাইর হোছনকে ফের ৩ লাখ ইয়াবার চালান সর্বরাহ করে। উক্ত টাকা চাইতে গেলে উসমানকে মৃত্যুর হুমকি দেয়। হুমকির তিন দিনের মাথায় ১৪ জুলাই মঙ্গলবার টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ উসমানের লাশ উদ্ধার করে।

উসমানের ভাই সেলিমের দাবী, খাইর হোছনের সহযোগীতায় উসমান এদেশীয় এনআইডি কার্ড তৈরী করে। তার নামে চট্টগ্রামে একটি ফ্ল্যাট ও গাড়ী বাড়িসহ অন্তত ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। খাইর হোছন উসমানের সমস্ত সম্পত্তির লোভে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে উসমানকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে, খাইর হোছন পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে উসমান দ্বীর্ঘ কাল ধরে খাইর হোছনের বাড়িতে অবস্থানের সত্যতা পাওয়া গেছে।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর