ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা
কক্সবাজার পৌরসদরে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় দেনাদারের পরিবারের লোকজনের মারধরে এক শ্রমজীবি নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে তাকে মেরে আহত করা হলে আজ (শনিবার) ভোরে তিনি হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ কলাতলীর বড়মিয়া পাড়ায়।
মারধরে নিহত কুলসুমা বেগম (৪০) কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কলাতলীর বড়মিয়া পাড়ার জোড়া হাম্বা এলাকার মৃত নুরুল আবছারের স্ত্রী।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ছেলে সুমন (২৩) জানান, বাবা মারেয়া যাওয়া পর আমরা মাছ ধরি আর মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। সম্প্রতি স্থানীয় রকিম আলীর পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয আমাদের। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠতার সূত্রে কিছুদিন আগে বিপদে পড়ে আমার মায়ের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার চান। যেকোনো ভাবে দিতে আবদার করেন।
পরে আমার মা স্থানীয় সমিতি থেকে ১৫ হাজার ও নিজের কানের দুল বন্ধক রেখে আরও ৫ হাজারসহ মোট ২০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেয়। কথা ছিল কিস্তি ও বন্ধকের সুদ রকিম আলী চালাবেন। কিন্তু ধার পাওয়ার পর রকিমদের চরিত্র পাল্টে যায়। তারা কিস্তিও চালান না; টাকাও শোধ দেন না।
শুক্রবার বিকালে আমার মা রকিম আলীর স্ত্রী তৈয়বা বেগমের কাছে টাকা চাওয়ায় কথা কাটাকাটি হয়। দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যার জেরে রকিম আলীর ছেলে হাবিব উল্লাহ ও আবদুল্লাহ এসে আমাকে আমাকে মারধর করেন। রাতের বেলা আমরা সবাই ঘুমি পড়লে মায়ের মোবাইল ফোন আসে। তখন মা আমাদেরকে বলেন, তিনি রকিম আলীর বাসায় যাচ্ছেন।
এরপর মা বেরিয়ে গেলে সারারাত আর আসেননি। ভোর ৬টার দিকে রকিম আলীর বড় মেয়ে শাহেনা ফোন করে বলেন, আমার মা সদর হাসপাতালে। দ্রুত সেখানে এসে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে। তার সারা শরীর এবং মুখে আঘাতে চিহ্ন।
খবর পেয়েছি রকিম আলী আমার মাকে হাসপাতালে আনেন। শরীরে জখম দেখে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ তথ্য দেয়ার জন্য রকিম আলীকে তাকের কক্ষে যেতে বললে কৌশলে পালিয়ে যান।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সদর থানার ওসিকে অবহিত করেছে নিহতের পরিবার। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তাবাজার/এসজে