শাহেদ কেলেঙ্কারিতে ধরাছোঁয়ার বাইরে ডা. সাবরিনা

করোনা মহামারিতে মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণায় উঠে এসেছে সাবরিনা চৌধুরী নামে এক চিকিৎসক ও তার প্রতারক স্বামীর নাম। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

শাহেদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় তার নাম নেই। তবে তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে গ্রেফতার করার আশ্বাস প্রশাসনের।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত থেকেই জেকেজি’র চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ডা. সাবরিনা। কিভাবে, কার মাধ্যমে তিনি এ কাজ হাতিয়েছেন, সে ব্যাপারে চলছে অনুসন্ধান। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিরত থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান পদে থাকার বিষয়ে এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, সাবরিনার বিষয়টি হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

বহুরূপী শাহেদ তার সাম্রাজ্য শাসনে সুন্দরী নারীদেরও ব্যবহার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।

শাহেদের রক্ষিতা হিসেবে কাজ করে এমন পাঁচজন সুন্দরী নারীর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে তিনটি নাম ঘুরে ফিরে উঠে আসছে। তারা হলেন- তরুণী লিজা, সাদিয়া ও হিরা মণি।

শনিবার (১১ জুলাই) দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতারণায় শাহেদ করিম সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করত। শাহেদ তরুণীদের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে কাজ বাগিয়ে নিত। অনেক সময় সরবরাহকারীদের দিয়ে কাজ করিয়ে বিল দিতেন না।

লিজা, সাদিয়া ও হিরা মণির মতো অন্তত চার-পাঁচ তরুণী শাহেদের হয়ে কাজ করত। এমন অভিযোগের বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ আমরাও পেয়েছি।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর