প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছেন প্রায় আড়াই লাখ কর্মী

মহামারী করোনার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ, তবু এর মধ্যেই সব হারিয়ে একরাশ হতাশাকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরেছেন প্রায় আড়াই লাখ কর্মী।

অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে চাপ দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। বিমান চলাচল শুরু হলে এ সংখ্যাটা আশঙ্কাজনকহারে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অন্তত ৬ মাস তাদের রাখতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য গঠন করা হয়েছে ২ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ডও।

তারা ফিরছেন, একরাশ হতাশাকে সঙ্গী করে। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। করোনা পরিস্থিতি জীবীকার নিদারুণ এক সঙ্কটে ফেলছে এসব প্রবাসী কর্মীকে।

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধের আগ পর্যন্ত ফেব্র্রুয়ারি-মার্চ মাসে দেশে ফিরেছেন সাড়ে ৪ লাখ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে প্রবাসী কর্মী আছেন ২ লাখের বেশি। তাদের অনেকে ছুটিতে এসে আর ফিরতে পারছেন না। তবে, বিমান চলাচল বন্ধের পরও অনেক দেশ বিশেষ বিমানে পাঠিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার সংসদে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত আছে। তবে আমাদের সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে কথা হয়েছে তাদের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি সবার থেকে কথা বলেছি। আগমী ছয় মাস তাদের রাখেন। চাকরি থেকে বের করে দিবেন না। আমরা প্রবাসী কল্যাণে ২’শ কোটি টাকার ফান্ড করছি।

তবে, সব দেশের সঙ্গে বিমান চালু হলে তখনকার চিত্রটা আশঙ্কাজনক হতে পারে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, সংকট আসলে কতটা হবে তা সামনের দিনগুলোতে সুনির্দিষ্ট বলা সম্ভব। সবকিছু মিলে করোনার কারণে অভিবাসন খাত সংকটের মধ্যে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর