বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা জেন নিন

যে ইস্যু নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্ট, অধিনায়ক, বিসিবির পরিচালক, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আমজনতা চিন্তিত ছিল তা সমাধানের পথে!বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যের পথে সবথেকে বড় ‘কাঁটা’ ছিল উদ্বোধনী জুটি। সেটাই সমাধানের পথে। হ্যাঁ উদ্বোধনী জুটিতে মিলছে স্বস্তি। জমে উঠেছে তামিম-সৌম্যও ‘নতুন’ রসায়ন। নতুন গাঢ় করে বলতেই হচ্ছে এ কারণে, এর আগেও একাধিকবার আশার প্রদ্বীপ জ্বালিয়েছিল এ জুটি। তামিম নিজের জায়গায় ঠিকঠাক থাকলেও সৌম্য আসছিলেন-যাচ্ছিলেন।কোনো কিছুতেই থিতু হতে পারছিলেন না। এবার তাদের রসায়ন নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। বড় কিছু পাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তাদের ব্যাটিংয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে আত্মবিশ্বাসের রেণু।ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই ব্যাটিং কারিশমা দেখিয়েছেন দুজন। বিশেষ করে সৌম্য সরকার। ‘দেয়ালে পিঠ ঢেকে গিয়েছিল’ সৌম্যর। বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে তাকে নেওয়ায় নির্বাচক, অধিনায়ককে ধুয়ে দিচ্ছিল অনেকেই। কিন্তু অধিনায়কের প্রবল আস্থা সৌম্যর ওপর।

প্রিমিয়ার লিগের শেষ দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি করে ডাবলিনে এসেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দলে জায়গা পাকাপাকি করতে তাকে পারফর্ম করতেই হতো। কাজের কাজ করেছেন দুই ম্যাচে। দুটিতেই ফিফটি। দলের জয়ে রেখেছেন বড় অবদান।পার্টনার তামিমকে অনেকটা দর্শক বানিয়ে সৌম্য পারফর্ম করেছেন নিজের মতো করে। সবথেকে বড় কথা, শট খেলায় নেই কোনো জড়তা। ২২ গজ মাতিয়েছেন আপন ছন্দে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে রান করেছেন হাতখুলে। সমালোচনা হতে পারে, ইনিংসগুলো বড় করা নিয়ে। সেই সমালোচনা অবশ্য টিকবে না ধারাবাহিকতার সামনে।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত তামিম নিজেকে এখন অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন। বাড়তি ঝুঁকি নিচ্ছেন না। ইনিংস বড় করছেন। ক্রিজে থাকছেন দীর্ঘ সময়। দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাট করছেন। তার অভাব সৌম্য পূরণ করছেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রান তুলছেন। পুরো দল যেন তাদের জুটি থেকে এমন ব্যাটিং প্রত্যাশা করছে।পুরো বাংলাদেশই চাচ্ছিল, ওপেনিং জুটিতে তামিমকে এমন কেউ সঙ্গ দিক যে অনন্ত উইকেট বিলিয়ে আসবে না, সহজাত শট খেলতে পারবে, স্ট্রাইক রোটেট করতে পারবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যচেই সৌম্য সেই চাহিদা পূরণ করেছেন। এবার তাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা।দুই ম্যাচে সৌম্যর রান ৭৩ ও ৫৪। তামিমের ৮০ ও ২১। দুজনের জুটি ১৪৪ ও ৫৪ রানের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে সৌম্যর স্বরূপে ফিরে আসা ও তামিমের ধারাবাহিকতা দলের সবথেকে বড় অর্জন। তাদের ‘রসায়নে’ মিলছে স্বস্তি। বিশ্বমঞ্চে তাদের ব্যাট হাসলে হাসবে বাংলাদেশ। তারা শুরুতে দলকে এগিয়ে নিতে পারলে পরের কাজগুলো সহজ হয়ে যাবে আপনা আপনি। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে দুজনকেই।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর