শাহেদের প্রতারণার কথা ২০১৬ সালেই জানতো পুলিশ
রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মাদ শাহেদের প্রতারণার কথা ২০১৬ সালেই জানতো পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ সদর দফতরকে চিঠিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে তার দহরম মহরম চলছে বলে জাহির করে যাচ্ছিলেন।
রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের পর থেকেই শাহেদের সকল প্রতারণা প্রকাশ হতে থাকে। উন্মোচিত হয় তার প্রতারণার ইতিবৃন্ত।
জানা যায়, ২০১৬ সালেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় পুলিশ বিভাগের কাছে। কিন্তু ব্যবস্থা তো দূরের কথা উল্টো এই প্রতারককে প্রোটোকল দেওয়া হয়েছিল পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে। এছাড়া প্রশাসনের নাকের ডগায় বসেই সব অপকর্ম করে গেছেন তিনি।
নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয় পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক বরাবর। সেই চিঠিতে বলা হয়, শাহেদ কোনো সময় পরিচয় দেন সেনাবাহিনীর মেজর, কোনো সময় প্রধানমন্ত্রীর এডিসি। আসলে সে এর কিছুই নয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন ভয়ংকর প্রতারক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩২টি মামলা রয়েছে এবং তিনি ২ বছর কারাবাসও করেছেন
অবশেষে গত সোমবার (৬ জুলাই) উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাব ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ধরা পরে শাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা। তার পর থেকেই একে এক সব বের হয়ে আসতে শুরু করে।
বার্তাবাজার/এসজে