মাদকদ্রব্য উদ্ধারে কঠোর অবস্থানে ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর)

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের কঠোর অবস্থান এবং এব্যাপারে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) এর চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার এর নেতৃত্বে ডিবি (উত্তর) সাভার/ধামরাইয়ে একের পর এক সফল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

সম্প্রতি গত শুক্রবার (১০ মে) সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ী এবং তার সহযোগী এক ট্রাক চালককে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল সিরাপ সহ আটক করা হয়। আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী হলো- দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার বায়জিদপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোঃ রুবেল ইসলাম (২৮) এবং সাভার মডেল থানাধীন আমিনবাজার বেগুনবাড়ি এলাকার মোঃ ইউনুছ এর পুত্র ট্রাকচালক মোঃ সামছুল আলম লিটন (৩৭)। আটক মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল ইসলাম আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকার জনৈক সানা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

এব্যাপারে সাভার মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও বাদী ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) এর উপ-পরিদর্শক মোঃ জহুরুল ইসলাম এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর), ঢাকা এর সাধারণ ডায়েরি নং ১৭৬, তারিখ ৯ মে, ২০১৯ ইং মূলে সাভার মডেল থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করাকালীন বাদী গত ১০ মে, ২০১৯ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্যিতে জানতে পারেন যে, সাভার মডেল থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকায় রহমান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে পাকা রাস্তার উপর কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছে।

খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স সহ ডিবি (উত্তর)’র উপ-পরিদর্শক মোঃ জহুরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হলে মাদক ব্যবসায়ীগণ কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় দুইজনকে আটক করে স্থানীয় সাক্ষীদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসামীদ্বয় তাদের ব্যবহৃত ৭ টনি ট্রাক (রেজিঃ নং ঢাকা মেট্রো ট-১১-৬৯০৭) এর স্টিয়ারিং এর বাম পাশে রাখা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা ১৫০ বোতল ফেনসিডিল বের করে দেয়।

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) এর উপ-পরিদর্শক মোঃ আশরাফ এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হেমায়েতপুর থেকে গত শুক্রবার মামলার বাদী ডিবির উপ-পরিদর্শক মোঃ জহুরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ট্রাক চালক লিটন ও ফেনসিডিল এর মালিক রুবেলকে আটক করেন এবং ১৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ এগুলি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করেন। এই দুইজন দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় এই ট্রাক ব্যবহার করে ফেনসিডিল পাচার কিরে আসছে বলে স্বীকার করেছে। এদেরকে মাদক আইনে আদালতে চালান করে রিমান্ড চাইলেও ২০০ বোতল ফেনসিডিল না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

ঢাকা জেলা ডিবি (উত্তর) এর সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, মাদকের বিরুদ্ধে ‘হার্ডলাইনে’ রয়েছি আমরা। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই গত শুক্রবারের অভিযানটি পরিচালিত হয়। এতে আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি এরা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ট্রাক ব্যবহার করে এই এলাকায় ফেনসিডিল পাচার করে আসছিলো। এরা ফেনসিডিল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রেখে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১) এর টেবিল ১৪(গ) ধারার অপরাধ করেছে। সেই অনুযায়ী সাভার মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ মাদক আইনে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর