আবরার হত্যাকান্ডের কথা সবারই জানা। যা পুরো দেশজুড়ে আলোচিত ছিলো। সেই হত্যাকান্ডের মামলা পরিচালনার জন্য তিনজন বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে মধ্যে চিফ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলকে।
সোমবার (৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোশাররফ হোসেন কাজল। ২ জুলাই আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারাধীন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজলকে চিফ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়াকে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তর করে আদেশ জারি করা হয়। বর্তমানে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন আবরার। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
কে.এ.স/বার্তাবাজার