চোখে মলম দিয়ে ছিনতাই, বাধা দিলেই হত্যা!

ভয়ঙ্কর গামছা ও মলমপার্টি। সিএনজিতে যাত্রী তুলে চোখে মলম দিয়ে করে ছিনতাই, বাধা দিলেই হত্যা। এ পার্টির ২ জন গুলিতে নিহত হয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাতে অভিযানে এ পার্টির ২ জন গুলিতে নিহত হয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি বন্দুক যুদ্ধ। গ্রেফতার হওয়া আরো দুই সদস্যের কাছ থেকে মিলেছে চাঞ্ছল্যকর তথ্য।

গত ১৭ জুন রাতে ব্যবসার কেনাকাটা সেরে রাজধানীর দক্ষিণ খানের বাসায় যাচ্ছিলেন হারুন অর রশিদ। মহাখালীর এক সিসিটিভির ফুটেজে তার বাসায় যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। পরদিন তার লাশ পাওয়া যায় তিনশো ফিটে।

রাজধানীর বিশ্বরোডে মলম ও গামছাপার্টির একটি চক্র সক্রিয় এমন খবরে রোববার রাতে অভিযানে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় চক্রটি পুলিশকে দেখে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দুজন নিহত হয়। আহত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় আরো দুজনকে।

গ্রেফতারকৃতরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী উঠানোর পর তারা গামছা পেঁচিয়ে ও মলম দিয়ে ছিনতাই করতো। বাধা দিলেই করা হতো হত্যা। লাশ ফেলে দেয়া হত তিনশো ফিটে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হারুনকে এভাবেই হত্যা করা হয় বলেও জানায় তারা।

গ্রেফতার হওয়া একজন বলেন, শফিক গাড়ি চালায় আমি বামদিকে বসি, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী উঠাই। চোখে মলম লাগিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে নেই।

ডিবি বলছে, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেফতার করা হবে।

ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী উঠিয়ে চোখে মরিচ বা মলম লাগিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাই করতো।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল,চাপাতি ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। মরহেদ দুটি পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর