সর্বনিম্ন ১৩. ৮৬ লাখ টাকা করে পাবেন পাটকল শ্রমিকরা

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একে আরো সক্ষম করে গড়ে তুলতে উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকদের এককালীন পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ জন্য বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে শ্রমিকদের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার পাওনা পরিশোধ করবে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজিএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ১ জুলাই থেকে বন্ধ ঘোষণা এবং গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার আওতায় কর্মরত ২৪ হাজার ৮৮৬ জন শ্রমিকের পাওনা এককালীন পরিশোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় শ্রমিকরা চারখাতে আর্থিক সুবিধা পাবেন।

শ্রমিকরা ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’ এর ধারা-২৬ এর উপধারা-৩ অনুযায়ী নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ ৬০ দিনের মজুরি পাবেন। এছাড়া চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি (জাতীয় মজুরি কাঠামো-২০১৫ অনুযায়ী), পিএফ তহবিলে জমাকৃত সমুদয় অর্থ ও নির্ধারিত হারে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা করে এবং সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। সেই সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত অবসরে যাওয়া আট হাজার ৯৫৬ জন শ্রমিকের ও বদলি শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকদের পাওনার অর্ধেক নগদে এবং বাকি অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে দেয়া হবে।

যার ফলে শ্রমিকরা এক প্রকারের বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। যা তাকে প্রতি তিন মাস অন্তর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মুনাফা দেবে। এতে শ্রমিকদের জন্য একটি আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন ও রিমডেলিংয়ের জন্য উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আওতায় আধুনিকায়ন করে এসব পাটকলকে উৎপাদনমুখী করা হবে। পরে এ কারখানাগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর