২ লাখ টাকা দিয়েও বন্ধ হয়নি পরকীয়া

স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান মোখলেছার রহমান নামে এক মাছ বিক্রেতা। স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মাছ বিক্রেতার এই পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যান স্থানীয়রা। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিসি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে মাছ বিক্রেতা মোখলেছার রহমানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এতেও স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মাছ বিক্রেতার পরকীয়া বন্ধ হয়নি।

এরই মধ্যে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে শাপলা বেগমকে (৩২) হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন স্বামী মোখলেছার রহমান কালা। সোমবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় স্ত্রী শাপলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের খালিশা চাপানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের খালিশা চাপানি গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে শাপলা বেগমের সঙ্গে ২০০৪ সালে একই এলাকার ছপির উদ্দিনের ছেলে মোখলেছার রহমানের (কালা) বিয়ে হয়।

মোখলেছার রহমান কালা বিভিন্ন বাজারে মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। তার সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে মোখলেছার রহমান কালা একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিস বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে মোখলেছার রহমান কালাকে দুই লাখ জরিমানা করে বিষয়টি আপস-মীমাংসা করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।

কিন্তু এরপরও থামেনি মোখলেছার রহমান কালার পরকীয়া। স্কুলছাত্রীর সঙ্গে আবার পরকীয়ার বিষয়টি জেনে স্বামীকে বাধা দেন স্ত্রী শাপলা বেগম। সেই সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলেন শাপলা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার বিকেলে লোহার রড দিয়ে স্ত্রী শাপলাকে মারধর করেন কালা। এ সময় স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড দিয়ে আঘাত করলে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। পরে পরিবারের লোকজন শাপলাকে উদ্ধার করে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাপলা বেগম বলেন, আমাকে হত্যা করে পরকীয়া প্রেমিকা স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে চায় কালা। ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর কারণে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এরপরও থামেনি তার পরকীয়া। আমি এতে বাধা দেয়ায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে কালা। ঘরে তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও মেয়ের বয়সী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করছে কালা।

এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও মোখলেছার রহমান কালার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

এদিকে, এ ঘটনায় শাপলা বেগমের বাবা আশরাফ আলী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদী আশরাফ আলী বলেন, বিয়ের সময় মেয়ের জামাইকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরে বাড়ি করার জন্য ১০ শতক জমি দুইজনের নামে লিখে দেই। আমি বাড়ি বাড়ি ফেরি করে সংসার চালাই। আমার মেয়েকে নির্যাতনের বিচাই চাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানা পুলিশের ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, মামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর