রাষ্ট্রপতিপুত্র তৌফিকের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করছে সিএনএন বাংলা টিভি

সিএনএন বাংলা টিভি নামের একটি লাইসেন্সহীন টিভি চ্যানলের মালিক হিসাবে রাষ্ট্রপতির পুত্র ও সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে পরিচয় করিয়ে আসছিলেন শাহিন আল মামুন নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকেও রাষ্ট্রপতির ভাতিজা বলে দাবী করছিলেন। শাহিন আল মামুনের এমন কাজ পুরোটাই প্রতারণা বলে বিবৃতি দিয়েছেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি।

আজ (রোববার) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এইসব প্রতারক থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের নাম ভাঙ্গিয়ে লাইসেন্সবিহীন সিএনএন বাংলা টিভির প্রতারণা’ শীর্ষক একটি অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ এবং আমার নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে শাহিন আল মামুন নামে এক ব্যক্তি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘শাহীন নিজেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাতিজা পরিচয় দিয়ে এবং আমাকে সিএনএন বাংলা নামক লাইসেন্সবিহীন একটি টিভি চ্যানেলের মালিক দাবি করে সে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়াসহ সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’

প্রতিবেদনের বিষয়ে আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য, ‘শাহিন আল মামুনের সাথে আমাদের পরিবারিক কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয়ও নেই। আর সিএনএন বাংলা টিভির নামে কোন চ্যানেলের মালিকানা তো দূরের কথা, সংবাদ প্রকাশের আগে এমন কোন চ্যানেল আছে কিনা তাও আমার জানা ছিল না। তাই এ ধরনের প্রতারণা সাথে যারা জড়িত তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং আমার সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করি।

আমি এই প্রতারক চক্র সর্ম্পকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে প্রকৃত সাংবাদিক বন্ধুদের এমন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ করছি। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সূত্র-মানবজমিন

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর