কলাপাড়ায় সড়কটিতে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। সমুদ্রবন্দর পায়রাসহ একাধিক মেঘা প্রজেক্টের কাজ এখানে চলমান রয়েছে।তাই উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের একটি মাএ সড়ক ঝুকিপূর্ন থাকার কারনে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটছে।

বানাতী বাজার হতে উত্তর লালুয়া লঞ্চ ঘাট ও শের-ই-বাংলা নৌ ঘাটিতে যাতায়াতের প্রায় ২ কিলোমিটার ইটের সড়কটির নাজেহাল অবস্থা হয়েছে। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ওই ইউনিয়নের পশরবুনিয়া,ছোনখোলা, চড়পাড়া,দশকানী, মনিরগুটিয়া, সাউগার কান্দা ও বানাতীপাড়া গ্রামের মানুষেরা উপজেলা সদর ও বানাতীবাজারে যাতায়তের একমাত্র সড়ক হওয়ার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।এলাকার মানুষের দ্রুত চলাচলের একমাত্র বাহন মটরসাইকেল।

এছাড়া ভ্যান গাড়ী ও টমটমেও তারা যাতায়ত করে থাকে। এসকল বাহনগুলো মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। পশরবুনিয়া গ্রামের জহিরুল হাওলাদার জানান, আমি এখানে মুদি দোকানের ব্যবসা করি। বিভিন্ন সময়ে আমাকে উপজেলা ও বানাতীবাজার হতে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে হয়। রাস্তার যা অবস্থা তাতে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে মটরসাইকে করে মালামাল নিয়ে আসতে হয়। লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, আমি ইউপি সদস্য মো. লিটন সাউগারকে নিয়ে একাধিকবার মেরামতের কাজ করিয়েছি।

কিন্তু কিছুদিন গেলেই আবার পূর্বের অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর বেশীরভাগই হয় পায়রা পোর্টের ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে। অনেক চেষ্টা করেও সেগুলোর চলাচল বন্ধ করতে পারিনি। রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করেও কোন সাড়া পাইনি। তিনি আরোও বলেন, রাস্তাটি ওয়াপদার আওতায় হওয়ায় বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে। ওয়াপদা কর্তপক্ষ মেরামতের কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করেন।

কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান বলেন, আমি কয়েকবার সড়কটি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। সড়কটির বেহাল দশা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। কিন্তু এটি ওয়াপদার আওতাভূক্ত হওয়ায় মেরামতে সরকারী কিছু জটিলতাও রয়েছে। তিনি অত্যান্ত আক্ষেপের সুরে বলেন, ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ আমাদের একটু সহায়তা করলে আমরা সড়কটির মেরামতের কাজে হাত দিতে পারি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর