চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চউকে’র মত বিনিময় সভা

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা বহু পুরাতন ও জটিল একটি সমস্যা। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৫৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প একনেকে পাস হলেও চট্টগ্রামবাসীর আশঙ্কার কোন সুরাহা আজো হয়নি। আসন্ন বর্ষায় নগরবাসী জোয়ারে ডুববে না ভাসবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ সংশয়ের কথা জানান।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে আমাকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আমি সে দায়িত্বের পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাই। সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে আলাপ আলোচনা করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে একটি জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে খালের মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে। খালগুলোকে আরএস জরিপ মূলে অবৈধ দখলমুক্ত করে পুরাতন অবয়বে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং খালের দুই পাড়ে গার্ডওয়াল নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে স্লুইসগেট নির্মাণ, খালের দুই পাশে রাস্তা, ওয়াকওয়ে এবং আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।

চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত স্লুইসগেটসহ বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ, লালখান বাজার থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং নাগরিক উদ্যোগের নেতাদের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।

উক্ত মতবিনিময় সভায়, উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ মো. ইলিয়াছ, সংগঠনের সদস্যসচিব হোসেন কোম্পানি, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. সেলিম, এজাহারুল হক, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, শিশির কান্তি বল, স্বরূপ দত্ত রাজু, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সরওয়ার্দী এলিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মনিরুল হক মুন্না, হাসান মুরাদ প্রমুখ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর