মাদকে ছড়াছড়ি সিরাজদিখানের কুমারখালীতে

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বয়রাগাদী ইউনিয়ের কুমারখালী গ্রামে মাদকের জমজমাট ব্যবসা চলছে। অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকার এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় থেকেই মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে।

সিরাজদিখান উপজেলা ও নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কুমারখালী গ্রাম। এ গ্রামটি থানা থেকে অফ সাইড হওয়ায় মাদক ব্যবসার অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। এমনকি ওই গ্রামটিতে থানা পুলিশের আনাগোনা বা ধর পাকোড় নেই বললেই চলে। আর সে কারণেই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে নির্বিঘ্নে। যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের মাদক সেবীরা হাতের নাগালেই পাচ্ছে মাদক। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, কুমারখালী ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আমজাদ হোসেনের ছত্রছায়ায় থেকে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা করছে। তার মধ্যে কুমারখালী গ্রামের আল ইসলামের পুত্র শাহিন (৩২), মুনাফ মেম্বারের তিন পুত্র মিলন (৪২), মোঃ জনি (২১) ও ইসলাম (৩৪), হাসমত আলীর পুত্র তৈয়ব আলী (৩৮), গনির পুত্র মোস্তফা, চান্দা মিয়ার দুই পুত্র নুর আলী (৫০) ও সত্তর (৪৫) অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী। আর এদের মাদক ব্যবসায়ার মাদক যোগান দেন ব্যবসার মূল হোতা আঃ জলিলের পুত্র আয়নাল হক (৪৫)।

স্থানীয় লোকজন মাদক ব্যবসার অভয়ারন্য হিসেবে উপজেলার কুমারখালী গ্রামটি চিহ্নিত করেছেন। কেন না মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা পুলিশের ধর পাকড় এবং স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদ না থাকায় এই গ্রামটিকে মাদকের অভয়ারন্য বানিয়ে নিয়েছে। এতে করে যুব সমাজের সিংহভাগই মাদকের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে খুব সহজেই। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে আরো জানা যায়, কুমারখালী গ্রামের পাশের গ্রামগুলোতেও মাদকের যোগানসহ মাদক বিক্রি করছে এই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ীরা। এমনকি কেউ যদি মাদকের বিরুদ্ধে কথা তোলেন তাদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতিসহ নানা ভাবে হয়রানীর শিকারও হতে হয় বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

কুমারখালী ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপনি যাদের কথা বললেন তারা মাদক ব্যবসা করে এটা এক’শ ভাগ সত্য কিন্তু আমি তাদের সাপোর্ট দেইনা। আমার তিন ছেলে বিদেশে থাকে। আমি যদি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি তাহলে তারা যদি আমার কোন ধরনের ক্ষতি করে তখন কে দেখবে?

এব্যাপারে বয়রাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রাম্যান গাজী আলাউদ্দিন জানান, এবিষয়ে আমি একাধিক অভিযোগ পেয়েছি এবং আমি ওসি সাহেবকে অবগত করেছি। কিন্তু কে বা কাহারা এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আমি নিশ্চিত নই। মাদক ব্যবসায় ঐ গ্রাম’টিকে মাদকের রোড হিসেবে ব্যবহার করেন।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে এবিষয়ে কোন কিছুই জানাননি। আমি আপনার কাছ থেকে এবিষয়ে জানাতে পেরেছি। পুলিশ সুপার মহোদয় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আর আমরাও। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। খুব শিঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর