৩১টি মসজিদ ধ্বংস করেছে চীন!

সারাবিশ্বের মুসলিমরা যখন পবিত্র রমজান পালন করছে, তখন চীনের মুসলিম সংখ্যালঘুরা রোজা রাখা এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করায় তাদের ওপর আবারও দমনপীড়ন শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর গার্ডিয়ানের।

দেশটির মুসলিম প্রধান পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে এই দমনপীড়ন করা শুরু হয়েছে।মুসলিমদের ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে তাদের বাড়িতে বারবার অবস্থান নিচ্ছে চীনের কর্তৃপক্ষ।প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, রমজান মাসে মুসলিমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনও কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকলে তাকে অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক রিপোর্টে বলা হয়, রোজা রাখার পাশাপাশি দাড়ি রাখা, মাথায় কাপড় দেয়া, নিয়মিত নামাজ আদায় এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাসহ ধর্মীয় বিষয়গুলোকে চীনের কর্তৃপক্ষ চরমপন্থার চিহ্ন মনে করছে।

অপরদিকে, গত তিন বছরে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ৩১টি মসজিদ ও দুটি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান এবং ওপেন সোর্স সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট বেলিংক্যাটের এক তদন্তে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইসলামি ধর্মীয় স্থাপনাকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে স্বায়ত্তশাসিত ওই অঞ্চলের ৯১টি ধর্মীয় স্থান পরীক্ষা করে দেখা হয়।সেখানে দেখা যায়, গত তিন বছরে ৩১টি মসজিদ ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাজারের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ওই ৯১টি স্থাপনার মধ্যে ৩৩টি ‘পুরোপুরি বা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস’ করা হয়েছে, আর অন্যগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গেটহাউজ, গম্বুজ ও মিনার।

তদন্তে আরও দেখা গেছে, ধর্মীয় স্থাপনার স্বাভাবিক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট না থাকলেও মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ৯টি ভবনও ধ্বংস করা হয়েছে। স্থাপনাগুলোর বিশ্লেষণ করা হয় অধিবাসীদের এবং গবেষকদের ম্যাপিং সরঞ্জাম সমন্বয় করে। ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলোর মধ্যে ইউটিউয়ান আইতিকা মসজিদটি অন্যতম। এই মসজিদটি চীনের সীমান্তের উত্তরে হটানের কাছে অবস্থিত। এটি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদটি স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর