জ্বীনের বাবার খপ্পরে সর্বস্ব হারালো গৃহিনী!

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন কন্ঠনগর গ্রামের নিলুফা আক্তার নামের এক নারী থেকে সর্বস্ব লুটে নিয়েছেন জ্বীনের বাবা।

জানা গেছে, জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন কন্ঠনগর গ্রামের মো. তফাজ্জল (বি.এস.সি) মাস্টার একই এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রীর কাছ থেকে জ্বীনের বাবা সেজে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে।

হাবিবুরের স্ত্রী নিলুফা আক্তারের মোবাইল নম্বরে ২৯ তারিখ রাত ৮টার পর অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে নিলুফাকে সাতটি স্বর্ণের কলস দেবার লোভ দেখানো হয়। নিলুফা আক্তার বলেন, প্রতারক আমাকে বলে তিনি একজন দয়াল বাবা। তুমি অনেক ভাগ্যবতী। তোমাকে আমি সাতটি স্বর্ণের কলস দেবো। তার বিনিময়ে তুমি আমাকে মিষ্টি খাওয়াবে।

‘তবে তোমাকে যে আমি এই উপহারটা দেবো তা কারো কাছে বলা যাবে না। বললে তুমি তা পাবে না। নিলুফা প্রতারকের প্রতারণা বিশ্বাস করে। তাকে জ্বীনের বাবা মনে করে সে কাউকে এ ব্যাপারে কিছুই জানায় না। পরে স্বর্ণের কলস পাওয়ার লোভে প্রতারকের কথামতো একটি বিকাশ নম্বরে প্রথমবার ৮ হাজার ৫০০ টাকা পাঠান। পরের দিন সেই প্রতারক ফের ফোন করে বলে, বুড়িচং সরকারি হাসপাতালের গেটের সামনে একটি গাছের নিচে ৬০ হাজার টাকা রেখে আসতে।’

‘নিলুফা আক্তার প্রতারকের কথামতো দুপুর বেলা ওই জায়গায় ৬০ হাজার টাকা রেখে আসেন। তারপর আবারো প্রতারক তাকে সাতটি স্বর্ণের কলসের হাদিয়া স্বরুপ কিছু স্বর্ণ দেয়ার কথা করে। পরে ফের হাসপাতালের সামনের ওই জায়গায় নিলুফা প্রায় ৪-৫ ভরি স্বর্ণ রেখে আসেন এবং বিকেল বেলা কয়েকটি নম্বরে ২৮ হাজার টাকা পাঠান। তারপর আবার ৪ তারিখে ২২ হাজার টাকা পাঠান।’

এভাবে স্বর্ণ ও টাকা দেয়ার পরও প্রতারকরা তাকে স্বর্ণের কলস না দিয়ে আবার টাকা চাওয়ায় নিলুফা আক্তার তাদের প্রতারণা বুঝতে পারে এবং বাড়ির মানুষকে এই বিষয়ে জানায়। যে নম্বর থেকে তাকে ফোন করা হতো সেই নম্বরটি এখন মাঝে মাঝে খোলাও থাকে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর