যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও জিলা স্কুল শতভাগ পাসের মিথ্যা প্রচার

যশোর জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এই দুই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশের প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত(সোমবার ০৬ই মে) চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করলে স্কুল দুইটির শিক্ষকরা তথ্য গোপন করেন।

এ নিয়ে যশোর শহরে সমালোচনার মুখোমুখি পড়েছে যশোর জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, যশোর জিলা স্কুল থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২৬১জন শিক্ষার্থী।যাদের মধ্যে ১৫১ জন জিপিএ-৫ সহ ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।বাকি চারজন অকৃতকার্য হয়েছে।কিন্তু কয়েকটি পত্রপত্রিকায় বিদ্যালয়টির শতভাগ পাসের তথ্য সরবরাহ দেয়া হয়েছে।

একইভাবে যশোরের আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শতভাগ পাসের খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়।যদিও এই বিদ্যালয়টি থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২৪৬ জন শিক্ষার্থী,এর মধ্যে ২৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়।যাদের মধ্যে ১১৭ জন জিপিএ-৫ পায়।বিভিন্ন পত্রিকায় বিদ্যালয়ের শতভাগ পাসের অব্যাহত শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করেন।এ ব্যাপারে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পারভেজ হাসান বলেন,আমাদের ২৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন কয়েককটি পরীক্ষা দেয়ার পর আর অংশ নেয়নি।এ কারণে সে ফেল করেছে।তবে সব পরীক্ষায় অংশ নিলে সে পাশ করতো।

মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য সরবরাহের কথা স্বীকার করে যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম গোলাম আজম বলেন,ফলাফল ঘোষণার পর স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর আমাকে শতভাগ পাসের বিষয়টি জানিয়েছিল। আমিও সাংবাদিকদের শতভাগ পাস করেছে এমন তথ্য সরবরাহ করি।বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া তিনজন অনিয়মিত শিক্ষার্থীর বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি।

জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন,চারজন ফেল করেছে।অথচ দুইটি পত্রিকায় জিলা স্কুলে শতভাগ পাস করেছে এ নিউজ দেখে তিনিও অবাক হয়েছেন। শতভাগ পাসের তথ্য সংবাদপত্রে কিভাবে গেল এটা তার জানার বাইরে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর