পাবনায় মৃত ব্যক্তি আট মাস পর জীবিত উদ্ধার

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যার দায়ে চাচাদের কে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলো মিলন হোসেন (১৮) নামে এক যুবক। মিলন হোসেন পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বাদলপাড়া গ্রামের মৃতঃ হজরত আলীর ছেলে।

পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল হক জানান, মালিগাছা ইউনিয়নের বাদলপাড়া গ্রামের মৃতঃ হজরত আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তার ভাইদের সাথে মৃত হজরত আলীর স্ত্রী মেরিনা খাতুনের বিরোধ চলছিল।

এই বিরোধের জের ধরে দেবরদেরকে ফাঁসাতে মেরিনা খাতুন তার ছেলে মিলনকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে বলে দেবর সাইদুল, আসলাম ও ইসলামকে আসামী করে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মেরিনা খাতুন অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল চার টার দিকে তার ছেলে মিলন হোসেন বাড়ি ফেরার পথে তার দেবর আসামী সাইদুল, আসলাম ও ইসলাম মিলনকে অপহরন করে হত্যার পরে লাশ গুম করে।

আদালত পাবনা সদর থানাকে অভিযোগটি মামলা হিসাবে গ্রহন করার আদেশ দিলে পাবনা সদর থানা মামলা হিসাবে গ্রহন করে এসআই মহিউদ্দিনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে বেড়িয়ে আসে আসলা ঘটনা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন জানান, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, সদর সার্কেল ইবনে মিজান ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল হকের সার্বিক তত্বাবধানে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ মিলনের অবস্থান নিশ্চিত হয়।

পরে পুলিশ ময়মনসিংহ জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে মৃত সেজে আত্মগোপনে থাকা মিলনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। মিলন পাবনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক একেএম কামাল উদ্দিনের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল হক জানান, গেল আট মাসে মিলন নিজেকে মৃত প্রমান করতে আত্মগোপন করে রেখেছিল। এই আট মাসে সে ময়মনসিংহ, যশোর, সিলেট, ঈশ্বরদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর