কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ১জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ি এলাকায় কৃষক ডাবলু হত্যা মামলায় ৭ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামীদের উপস্থিতিতে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাথে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬মাস করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিয়াশিশায় গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যায় স্বামী আজাদ মন্ডলকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(ক) ধারা মোতাবেক এই রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানকালে আসামী আজাদ মন্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষক ডাবলু হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুন সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ি এলাকার জি কে ক্যানেলের পাশে থেকে মোঃ ডাবলুর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই আতর আলী ৮জনকে আসামী করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মিরপুর থানার মামলা নং-০৫, তারিখঃ ০৭/৬/২০১০ইং। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৮/৭/১১ ইং তারিখে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। দীর্ঘ শুনানিতে বিজ্ঞ আদালত আজ এই রায় প্রদান করেন। নিহত ডাবলুর পরিবারের অভিযোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পুকুরের লীজ এবং হাটের টোল আদায়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামীদের সাথে শত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ডাবলুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
মামলায় আসামীরা হলেন ১) জালাল প্রামানিক, পিতা: মকছেদ আলী প্রামানিক, ২) আতর আলী, পিতা মৃত খেজের আলী বিশ্বাস, ৩) জামান হোসেন পিতা- মৃত গোলাম জিলানী, ৪) আসাদুল মোল্লা, পিতা- মোঃ আনছার আলী মোল্লা, সর্ব সাং-কবরবাড়িয়া ৫) রুবেল মালিথা, পিতা- মোঃ কেরামত মালিথা, ৬) আসলাম মালিথা, পিতা- মৃত রিফাজ উদ্দিন মালিথা, উভয় সাং- সাতগাছি ও ৭) মেহের আলী মালিথা, পিতা- মোঃ কেরামত আলী, সাং-কবরবাড়িয়া সর্ব থানা- মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়া। এই মামলায় ইশারত বিশ্বাস নামে এক আসামী আগেই মারা গেছেন।

স্ত্রী হত্যা মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামী আজাদ মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তুলি খাতুন মারধোর করতো। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ১৮ মে রাতে ২লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তুলি খাতুনকে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে বাড়ির পাশে আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী আজাদ মন্ডল। এই ঘটনায় নিহতের বাবা আলী হোসেন মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর চার্জশীট দাখিল করা হয়। দীর্ঘ শুনানিন্তে বিজ্ঞ আদালত আসামীর উপস্থিতিতে আজ সকালে এই রায় প্রদান করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর