মেহেরপুরে জনম দুঃখী এতিম ৪ ভাই ও বোন পাচ্ছে সরকারি বাড়ি

গাংনীর কসবা গ্রামের জনম দুঃখী এতিম ৪ শিশুর বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে সরকার।মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের জনম দুঃখী এতিম ৪ শিশুর বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়। শনিবার(৩০ মে) সকালে বাড়ি নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে সরকারী ভাবে এ বাড়ি নির্মান করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

৪ এতিম শিশুকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী ও সদ্য বিদায়ী গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের সহযোগিতায় তাদের নামে এ বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়।

ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আখেরুজ্জামান বার্তা বাজার কে বলেন,এতিম ৪ শিশুদের জন্য বরাদ্দ ঘরের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে ঘরের কাজ শেষ করে তাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন,ঘরের নির্মান কাজ প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। সরকারী ডিজাইন মোতাবেক বাড়ি নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।

জানা যায়, ৪ এতিম শিশুদের বাবা,কসবা গ্রামের রাশিদুল ইসলাম একই উপজেলার পীরতলা গ্রামের এক মেয়ের সাথে ১৫ বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে। গত ৪ বছর আগে রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী স্ট্রোক করে মারা যান। পরে রাশিদুল ইসলাম তার ছেলে ও মেয়েদের ফেলে বিয়ে করে অন্যত্রে চলে যায়। নিরুপায় হয়ে ছোট ছেলে-মেয়েরা তাদের দাদার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করে। দাদা-দাদি বৃদ্ধ হওয়ায় সংসার চালানো কষ্ট হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছোট ছেলে-মেয়েরা দাদার বাড়ির আঙ্গিনায় একটি চায়ের দোকান স্থাপন করে। এবং চা বিক্রি করে কোনো রকম সংসার চালায়। পাশাপাশি বড় ছেলে আশিক,মেজো মোস্তাকিন,সেজো কুলছুম ও ছোট ছেলে রিয়াজ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করে।

করোনাভাইরাসের কারণে অন্যন্য দোকানের পাশাপাশি তাদের চায়ের দোকান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকলেও পেট তো আর থেমে থাকে না। তাদের এ কষ্টের খবর প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ সহযোগিতার হাত অব্যাহত রেখেছে।

বার্তা বাজার/টি.সি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর