মহামারি করোনায় সকল প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে একের পর এক ৬১ করোনায় মৃত মানুষের লাশ দাফন করেছেন নারায়ণগঞ্জের সিটি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সম্প্রতি তার স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার (৩০ মে) তার নিজেরও করোনা পজেটিভ আসে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানা যায় তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
শনিবার রাতে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় কাউন্সিলর খোরশেদ বিমর্ষ গলায় জানান, শ্বাসকষ্টে অক্সিজেন লাগানো রয়েছে আমার স্ত্রী লুনার। একটু দোয়া করেন সবাই প্লিজ। আমি এখন কাঁচপুর সাজেদা হাসপাতালে যাচ্ছি। আইসিইউ পেতে হয়ত সকাল হয়ে যাবে। বাঁচা মরা তো আল্লাহর হাতে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার ( খোরশেদ) করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও ভেঙ্গে পড়েছে সে।
তিনি আরও জানান, শনিবার বিকাল থেকে লুনার জন্য আইসিইউ খোঁজছি। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় তার জন্য কোনো আইসিইউ ম্যানেজ করতে পারিনি। কোনো জায়গায়ই খালি নেই।নারায়ণগঞ্জে শুধু সাজেদা হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেড রয়েছে। সেগুলোও পরিপূর্ণ। আর কোথাও নেই।
উল্লেখ্য, শনিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। এর আগে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন।
বার্তাবাজার/এসজে