বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিল সভাপতি, সব জেনেও পুলিশ নীরব

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর বেড়েরমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়টির সভাপতি আসাদুল ইসলাম। কিন্তু ইউএনওর নির্দেশে থানায় মামলা হলেও গত ৫ দিনে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশের এমন নীরবতা নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে উথেছে তীব্র সমালোচনা।

মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মে ফতেপুর বেড়েরমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনায় থাকা দুটি মেহগনি গাছ কেটে নেয় বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ ও একই গ্রামের গনি দর্জির ছেলে জামাল। গাছ দুটোর বাজার মূল্য কমপক্ষে ১ লক্ষ্য টাকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল খালেক আব্বাসী ২৪ মে তদন্ত করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় ওই দিনই একটি এজাহার দায়ের করে। কিন্তু গত পাঁচ দিনেও পুলিশ কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মহেশপুর থানার থানার অফিসার ইনচার্জ মোর্শেদ হোসেন খাঁনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলতে বলেন এবং মামলার বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্বাশতী শীল জানান, গাছ চুরি করে কাটায় আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা থানা কর্তৃপক্ষ নিবে এটাই নিয়ম।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে এখনও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

এদিকে অভিযুক্ত আসাদ জানান, গ্রামের কিছু লোকজনের অনুরোধে গাছ দুটি গাছ কাটা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর