টাঙ্গাইলে কথিত দুই জ্বীনের বাদশাহ শ্রীঘরে

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে টাকা নিতে এসে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে কথিত দুই জ্বীনের বাদশাহ। পরে ওই দুই জনকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে উপজেলার দেউপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নদাপুর গ্রামের ডিপ্টি আকন্দের ছেলে মোখলেছুর রহমান (২৮) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আবু তাহের (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি পিতলের পুতুল উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে জ্বীনের বাদশাহ পরিচয়ে উপজেলার দেউপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মোখলেছুর রহমান ও আবু তাহের।

এক পর্যায়ে কথিত ওই জ্বীনের বাদশাহ সুরুজ্জামানকে বলেন ৫ হাজার একশ টাকা দিলে তুই একটা সোনার পুতুল পাবি। পরে তাদের কথামত সুরুজ্জামান পাশের এক মসজিদের দান বাক্সের উপর টাকা দিয়ে পুতুল নিয়ে আসেন। কথা ছিল পুতুলের প্যাকেট যেন আগেই না খোলা হয়। এরমধ্যে জ্বীনের বাদশাহরা আবার বলেন যদি ৫০ হাজার একশ টাকা দেস তাহলে তুই সোনার কলসি পাবি। এদিকে প্যাকেট খুলে দেখা যায় স্বর্ণের পুতুলটি পিতলের। সুরুজ্জামান বিষয়টি এলাকার কয়েকজনকে জানিয়ে মসজিদের দান বাক্সের উপরে কিছু পাঁচশ টাকার নোট আর কাগজ দিয়ে মোড়ানো একটি বান্ডিল রাখেন। রাতে ওই দুই প্রতারক টাকা নিতে আসলে এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

পরে গণপিটুনি দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, যারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে এই ধরনের প্রতারণা করে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ওয়াহাব বলেন, গ্রামবাসী কথিত দুই জ্বীনের বাদশাহকে ধরে খবর দেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্ততি চলছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর