ঈদের নামাজ শেষে ঝড়ে ঘর ভাঙা মানুষের পাশে দিনাজপুরের ডিসি
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই দিনাজপুরের দুটি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ঘরহীন শতাধিক মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম।
গতকাল (২৪মে) রাতে হঠাৎ করে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের কয়েশ কাচা বসতবাড়ি ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তহবিল থেকে এক হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ ২ লাখ টাকা বিতরণ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে পার্বতীপুরের হাবড়া, হামিদপুর ও হরিরামপুর এবং ফুলবাড়ী উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের শতাধিক বাড়ি। এতে গৃহহীন ও খাদ্য সংকটে পড়েন প্রায় এক হাজার মানুষ।
আজ সোমবার (২৫মে) ঈদের নামাজ আদায় করার পর দুই উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, “ঈদের থেকেও আমার কাছে অসহায় মানু্ষের কাছে যাওয়াটা জরুরী ছিল। আমার পরিবার হয়ত ভালো আছে কিন্তু যাদের ঝড়ে ঘর ভেঙে গেছে তারা যে কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তা নিজের চোখে না দেখলেন বোঝা যাবে না।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সরকারের তহবিল থেকে আজকে এক হাজার অসহায় পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, আলু এবং নগদ ২ লাখ টাকা সবার মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্তত আগামী কয়েকদিন যাতে খাবারের অভাব না হয়। আমরা ঘরহীন মানুষদের জন্য আরো কি কি করা যায় সেটা মাথায় রেখেছি।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) মো. শরিফ উদ্দিন, পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, ইউএনও শাহনাজ মিথুন মুন্নী এবং ফুলবাড়ীর ইউএনও আব্দুস সালাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরেকৃষ্ণ অধিকারীসহ প্রমুখ।
কেএ/বার্তাবাজার