বয়স্কভাতার টাকা থেকে ৫’শ টাকা করে উৎকোচ নিলো চেয়ারম্যান !

এবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউানয়নে বয়স্ক ভাতার টাকা থেকে ৫শ টাকা করে উৎকোচ নিয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইঞ্জিনিয়ার সালাহ উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভূক্তভোগিরা। বয়স্কভাতা থেকে চেয়ারম্যানের উৎকোচ আদায় এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে নিন্দার ঝড় উঠে উপজেলার সর্বত্র। ।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ এর একান্ত সহকারী মোবারক হোসেন (মোবা), চেয়ারম্যনের কথা বলে বয়স্কভাতার টাকা থেকে ওই ইউনিয়নের সকল বয়স্কভাতার কার্ডধারী থেকে পাঁচশত করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আরো জানা যায় দির্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জাড়িত আছে ওই চেয়ারম্যান কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। তাদের প্রশ্ন কিভাবে এই করোনা ভাইরাসের মহামারী অবস্থায় গরীব ও অসহায় বয়স্ক লোকদের থেকে ৫’শ টাকা করে উৎকোচ নেয়? ।

এই মহামারী অবস্থায় এলাকার অনেকেই সহযোগীতা করে আসছে কিন্তু এসময় কিভাবে সম্ভব হলো চেয়ারম্যনের ঘুষ নেয়া?। তিনি অসহায় ও বয়স্কদের সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের কাছ থেকে পূর্বেও টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে একাধীক সূত্রে জানা গেছে।

বয়স্কভাতা কার্ডধারী মনু মিয়া (৮০) জানান, খলিলাবাদ স্কুলের ভিতরে আমাদের সরকার বয়স্কভাতা ৬ হাজার টাকা করে দিয়েছে,টাকা নিয়ে দরজায় আসার পরেই মোবারক হোসেন নামে এক লোক বলে ৫’শ টাকা দাও তিনি বললো কেন তখন মোবারক হোসেন বললো চেয়ারম্যান সাহেব বলছে দিতে হবে তখন বল্লাম কোন চেয়ারম্যান সে বললো সালাহ উদ্দিন চেয়ারম্যান তখন দিয়ে দিলাম। রেজিয়া বেগম(৬৭) বলেন অনেক দিন পর বয়স্কভাতার ৬ হাজার টাকা পাইছি এর মধ্যে চেয়াম্যনের লোক মোবারক হোসেন দরজায় দাড়ানো, সে আমাকে ৫’শ টাকা দিতে বলে আমি বললাম কেন সে বলে সবাই দিছে তুমিও দিতে হবে এটা চেয়ারম্যন সাহেবের অর্ডার।

বয়স্কভাতা কার্ডধারী তোতা মিয়া(৭৮),জাহাঙ্গির মিয়া (৭০), ছাফর আলী (৭০),হরিপদ(৬৫),মিলন দাস(৭০),রানু বেগম(৭০),মাঙ্গলী দাসী(৬৫)সহ আরো অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, এই করোনা ভাইরাসের মহামারী অবস্থায় কিভাবে সালাহ উদ্দিন চেয়ারম্যান তাহার লোক দিয়ে আমাদের মত অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা ঘুষ নেয়। সে আমাদে আরো সহযোগিতা করবে, তা না করে আমাদের মত অসহায়দের কাছ থেকে ঘুষ নেয় ,সরকার আমেদর যেই টাকা দেয় এগুলো দিয়েইতো আমাদের সংসার চলে, আমাদেরতো আর কোন কাজ করার বয়স নাই যে আমরা কাজ করে খাবো। এটাই আমাদের শেষ সম্বল এই টাকাটা থেকেও যদি চেয়ারম্যন সাহেব ৫’শ করে টাকা নিয়ে যায় তাহলে আমরা কি ভাবে চলবো? আমরা এর বিচার চাই সারা বছরই আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তবে আমাদের এতটা কষ্ট হয় নাই ,এবার আমাদে খুব কষ্ট হয়েছে।

এই মহামারী অবস্থায় চেয়ারম্যান মেম্বাররা গরীবদের সহযোগিতা করে আর আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়।আমরা এই ঘুষখোর চেয়ারম্যানকে আইনের অওতায় আনার জন্য প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। টাকা আদায়কারী মোবারক হোসেন বলেন আমি যা বলার টিউনো স্যারের কাছে বলে আসছি।

এবিষয়ে মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইঞ্জিঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন সামনে আসলে কথা বলবো।

উপজেলা নির্বহিী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার বলেন বয়স্কভাতার টাকা থেকে নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ৫শ টাকা করে উৎকোচ নিয়েছে এমন অভিযোগ পেয়েছি এবং উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।

বার্তা বাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর