বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটাই সচল থাকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে। এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করে বিভিন্ন দেশে। তারমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যেই আছে সিংহভাগ। এবার করোনায় অর্থনৈতিক মন্দায় পড়া মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশগুলো তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকেই ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এপ্রিলে এই বিষয়ে বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালকে অবহিত করেছে সৌদি সরকার।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, ‘মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। বিশেষ করে সৌদি থেকে কত শ্রমিক ফেরত আসবে তা ভাবতেও পারছি না। সৌদি সরকার বাংলাদিশদের ফেরত আনার বিষয়ে তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, আমরা এক সঙ্গে এত লোক আনতে পারবো না। আমরা আমাদের নাগরিক অবশ্যই নিয়ে আসব। তবে ধাপে ধাপে আনতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আনডকুমেন্টেটেড ও অবৈধ কর্মীদের নিবন্ধন করতে বলেছে। নিবন্ধন করলে আর কোনো জরিমানা দিতে হবে না। দেশে ফিরতেও খরচ লাগবে না। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের ফেরত পাঠাবে। এর ফলে বাংলাদেশিরা দলে বেধে নিবন্ধন করছে। নিবন্ধনের পরে তাদের ক্যাম্পে রেখে দিচ্ছে। ফলে বিরাট সংখ্যক লোক আসছে।’
এখন আবার সাধারণ ক্ষমা করে আবারো বৈধ হওয়ার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। এ প্রেক্ষাপটে সৌদিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস আশংকা করছে যে এবার ৫-১০ লাখ বাংলাদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ধরনের তথ্য সৌদিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও জানানো হয়েছে।
তবে সূত্র জানায়, ৫-১০ লাখ বাংলাদেশিকে একসঙ্গে ফেরত পাঠাবে না সৌদি। আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে ফেরত পাঠানো হবে।
বার্তাবাজার/এসজে