কোরআন ছুঁয়ে ভাবীকে বিয়ে করে বড়ভাইকে হত্যা

কোরআন ছুঁয়ে নিজে নিজেই বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করার পর দীর্ঘদিন চালিয়ে যায় পরকীয়া। বড়ভাই সেটা জানার পর হত্যা করে ভাইকে পথের কাটা হিসাবে সরিয়ে দেয় আপন ছোট ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের আনিকেলীবড় এলাকায়। খুনের দায়ে অভিযুক্তের নাম বদরুল মিয়া (২৭)। শুক্রবার (১ মে) বিকালে বড় ভাই মেরাজ মিয়ার (৪৭) লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ইফতার করে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি নিহত মেরাজ মিয়া। পরদিন শুক্রবার বিকালে স্থানীয় একটি খালে তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহ হয় নিহতের ছোট ভাই বদরুলের উপর। একইসাথে জানা যায় নিহত মেরাজের স্ত্রী ৩/৪ দিন আগে দুই সন্তানসহ বাবার বাড়ি চলে গিয়েছে। এরপর বদরুলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সেখানেও ধুরুন্ধর এই হত্যাকারী কৌশলে এড়িয়ে যায় ঘটনা।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বদরুল খুনের কথা স্বীকার করে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাবীর সাথে পরকীয়া প্রেম চলছিল। একপর্যায়ে কোরআন ছুঁয়ে নিজেরা নিজেরাই শপথ করে কথিত বিয়ে করে নেয়। কিছুদিন আগে তাদের এই অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টা টের পেয়ে যায় বড় ভাই বদরুল। ঝগড়া হয় স্ত্রীর সাথে। স্ত্রীও রাগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এতে অবৈধ প্রেমিকাকে কাছে না পেয়ে বড় ভাইয়ের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয় বদরুল। পরিকল্পনা করে হত্যার।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ইফতারের পর মেরাজ মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে ঘুরতে গেলে ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থান নেয় বদরুল এবং রাত ১০টার দিকে যখন বড় ভাই মেরাজ বাজার থেকে ফিরছিলেন তখন প্রথমে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে পরে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে আরও আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়িতে চলে যায়। যেহেতু সবাই আলাদা এবং ঘরে স্ত্রী নেই তাই সে রাতে কেউ আর মেরাজের খোঁজ নেয়নি। পরদিন বিকেলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানান, বদরুল মিয়া কোরআন ছুঁয়ে ভাবিকে মনে মনে বিয়ে করেছে। বড় ভাই ভাবির সঙ্গে ঝগড়া করার কারণে ভাবি বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় পথের কাটা হিসেবে ভাইকে সরিয়ে দেয়ার জন্য সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর