সহ-সম্পাদক পরিচয়ে ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীদের পেটালো জবি ছাত্রলীগ কর্মী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর হামলায় আহত হয়েছেন বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা বিএম কলেজের শিক্ষার্থী জগদ্বীশ সাহা,
কিশোর কুমার বালা ও এক নারী কর্মী।

পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছ। প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌ থানা পুলিশ সত্রে জানা যায়, সোমবার আনুমানিক রাত ৮টায় বরিশাল গামী লঞ্চ সুরভী-৮ এ ছাত্র ইউনিয়নের নারী কর্মীর সাথে পূর্ব শক্রতার জের ধরে তার সাথে খারাপ আচরন করে। এতে জড়িত ছিল পরিসংখ্যান ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেনুন মাহফুজ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ ১১তম ব্যাচের আবিদ আল হাসান এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শাহারুল ইসলাস শোভন। এতে বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাথে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের বাকী দুজন কর্মী।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শোভনের বান্ধবী বরিশাল বিএম কলেজে পড়ে সেখানে দেখা করতে গেলে শোভনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় জগদ্বীশ সাহার। এরই জের ধরে সোমবার ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে ফেরার পথে সুরভী-৮ লঞ্চে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এতে গুরুতর অবস্থায় জগদ্বীশ সাহা, কুশোর কুমারকে সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ভর্তি করায় নৌ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ভূইয়া বলেন, হামলার শিকার হওয়ার পর আমরা সেখানে উপস্থিত হই এবং নৌ ফাঁড়ি পুলিশের সাথে কথা বলে ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উক্ত বিষয়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মিজান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা মিটমাট করেছি।

পরে তিনি স্বীকার করে বলেন, মিনুন মাহফুজ নিজেকে জবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক পরিচয় দেন এবং আবিদ হাসান নিজে ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর থানার ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দেন। এসব পরিচয় দেওয়ায় মিচুয়াল করে দেন। তবে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নল হক মঞ্জু বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে আবিদ হাসান নামের কেউ ছাত্রলীগের দ্বায়িত্বে নেই। জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির আগে এরা সবাই সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলামের সাথে রাজনীতি করত। তবে এখন সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন রিশাদের সাথে রাজনীতি করে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে রিশাদ বলেন, তারা আমার সাথে রাজনীতি করে না। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিনুন মাহফুজ বিষয়টি স্বীকার করে
মিচুয়াল হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে এই প্রতিবেদকের সাথে খারাপ আচরন করেন এবং দেখা করতে বলেন। অভিযুক্ত শাহরুল ইসলাম শোভন বলেন, আমি এই ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। ওখানে সোহান নামের একজন ছিল। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অনিক রায় বলেন, গতকাল আমাদের বরিশাল জেলা সভাপতি জগদ্বীশ সাহা সহ তিন জনের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ঘটে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে হামলার ঘটনা ঘটে।

পরে নৌ পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্বার করি আমরা পরে মীমাংসা করি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, এমন বিষয়ে মামলা করতে হবে। তাছাড়া অভিযোগ পেলে আমরা উপযুক্ত শাস্তি দিব। অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযুক্ত তিনজন বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকের উপর হামলা, বিভিন্ন মারামারিতে সরাসরি অস্ত্র উঁচিয়ে অংশ গ্রহন, পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলার সাথে যুক্ত। এছাড়া ক্যাম্পাসে ছিনতাই, মারমারিসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর