ভারতের নাগরিক নন রাহুল গান্ধী !

ভারতে নাগরিকত্ব নিয়ে আবারও বিতর্কে পড়লেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এবার শুধু বিতর্ক নয়, কংগ্রেসের সভাপতিকে সরাসরি নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যমস্বামীর একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বামীর দাবি, রাহুল আসলে ব্রিটিশ নাগরিক। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানাতে হবে, নোটিশে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

তবে কংগ্রেসের দাবি, চাপে পড়ে রাহুলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এই কাজ করা হচ্ছে মোদী-অমিত শাহের মদতে।

বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ভারতের নাগরিকত্ব নেই রাহুল গান্ধীর। এই অবস্থায় তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।

নির্বাচন কমিশনে রাহুলের বিরুদ্ধে জমা পরে অভিযোগ। একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও দায়ের করা হয় অভিযোগ। এক নির্দল প্রার্থীও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই নিয়ে বিঘ্নিত হয় রাহুল গান্ধীর মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়া।

এরই মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করেন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপির এই রাজ্যসভার সাংসদ মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন করেন। মঙ্গলবার সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নোটিশ পাঠান হয়েছে কংগ্রেস সভাপতিকে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে।

এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই চাপে পরেছে জাতীয় কংগ্রেস।

যদিও লোকসভা নির্বাচনের মুখেই রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিষয়টিকে অবশ্য চক্রান্ত হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া নোটিস প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বলেছেন, ‘আতঙ্ক থেকেই এই কাজ করছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি।’

প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধী ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তার দাদি ইন্দিরা গান্ধীও দীর্ঘদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাহুল নিজেও কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এই রকম একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যকর বিষয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর