মানবতায় চট্টগ্রাম কোতোয়ালি পুলিশ: ক্ষুধার্ত নারী নিজে কাঁদলেন ও কাঁদালেন

চলমান করোনা মহামারিতে সারাদেশের পুলিশ বাহিনী মানুষের সেবায় দিনরাত কাজ করে যাছে। চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা পুলিশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশে করোনার প্রথম উপস্থিতির দিন থেকেই তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এই থানার পুলিশদের নেতৃত্বে আছেন চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মহসিন পিপিএম।

চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ওসি মহসিনই ঘোষণা দেন ঘরে ঘরে নিজেরা খাদ্য পৌছে দেয়ার। মানুষকে ঘরে রাখার জন্য এলাকাজুড়ে চালু করেছেন ড্রোন ক্যামেরা। আর হ্যান্ড মাইক হাতে দিনে রাতে হেঁটে হেঁটে মানুষকে সচেতন করার ঘটনা এখন খুব কম মানুষেরই অজানা।

রোববার (১৯ এপ্রিল) বিকালে মোহাম্মাদ মহসিন তার ফেসবুক পেইজে একটি ঘটনা শেয়ার করেন। যেখানে একজন ক্ষুধার্ত অসহায় নারীর কথা উল্লেখ করা আছে আছে। দেয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশের নিরলস কর্মযজ্ঞের একটা ছোট্ট উদাহরণ। তার লেখা এই ঘটনাটা যেমন পুলিশকে কাঁদিয়েছে তেমনি কাঁদিয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষকেও।

বার্তাবাজারের পাঠকদের জন্য ওসি মোহাম্মাদ মহসিনের সেই ফেসবুক পোস্টটা হুবহু উল্লেখ করা হলো-

‘গল্প নয় সত্যি!

‘দাদা, ঘরে চাল নেই। চারজনের শুধু ভাত হলেই চলবে।’ ফোনের ওপাশ থেকে কিছুটা বিব্রত কণ্ঠে বললেন মহিলা। রাত ১১ টা। সব হোটেলই বন্ধ। বন্ধ আমাদের কেন্টিনও। আমি যখন হতাশ তখনই আসাদ বলল ‘স্যার, আমরাই রেঁধে দিই।’ মহিলার কাছ থেকে ২০ মিনিট সময় নিয়ে ভাত- তারকারি রান্নার ব্যবস্থা করে সহকর্মী এএসআই আসাদ, নজরুল, রুবেল! পরে সে খাবার নিয়ে যায় এই তিনজনই। সাথে নিয়ে যায় কিছু খাদ্যসামগ্রীও। খাবার পেয়ে মহিলা তিনজনকে জড়িয়ে কেঁদেছে। খাবার দিয়ে এসে তিন অফিসার আমাকে জড়িয়ে কেঁদেছে। এই কান্নার সুখ হয়ত তারাই উপভোগ করতে পেরেছে! এমন ছোট ছোট গল্পেই রচিত হবে আমাদের করোনা জয়ের বিজয়গাঁথা।’

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর