রাজধানীর অদূরে সাভারে রানা প্লাজার উদ্ধার কর্মী নওশাদ হাসান হিমু নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বিরুলিয়ায় শ্যামপুর এলাকায় হিমুর ভাড়া বাড়ির একটু সামনে এই ঘটনা ঘটে। নওশাদ হাসান ‘হিমালয় হিমু’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত ছিলেন।তিনি বরিশালের উজিরপুর থানার আবুল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম মোল্লার বরাত দিয়ে জানা গেছে, বুধবার রাতে বাজার থেকে ফেরার সময় দেখি গাছের নিচ দাই দাই করে আগুন জলছে। কাছে গিয়ে দেখি তার ভিতর একজন মানুষ জ্বলছে। দ্রুত আমরা কয়েকজন বালু ও পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তবে এরমধ্যে শরীরের প্রায় অংশ পুড়ে গিয়ে তিনি মারা যান। পরে পুলিশকে জানানো হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে রানা প্লাজার দুর্ঘটনা সে অনেকটা কাছ থেকে দেখেছিল। তারপরে রানা প্লাজা ধসে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় সে নিয়োজিত ছিল। সে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে এবং অন্য কারো সাথে তেমন মিশতো না। মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলো।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আজগর আলী জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মরদেহ ময়না-তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।