শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষের দাবিতে বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় ডিন অফিস ঘেরাও করে ওই বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

এসময় ক্লাসরুমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে কৃষি অনুষদীয় ছাত্র সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে সবাই একযোগে ডিন অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে। তারা অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিনের কাছে তাদের দাবিগুলো উত্থাপন করে। দাবিগুলো শুনে তিনি শ্রেণিকক্ষ সাময়িক সংস্কারের আশ্বাস দেন। এ শুনে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানায়। পরে কৃষি অনুষদীয় ডিন ৭ দিনের সময় চেয়ে নেন এবং ৩০ তারিখ অনুষদদের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ডিনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বন্ধ করে ক্লাসে ফিরে যায়।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী বলেন, কৃষি অনুষদের তিন ও চার তলার পশ্চিম দিকের শ্রেণীকক্ষগুলোতে প্রচন্ড গরমে ক্লাস সম্ভব হচ্ছে না। ক্লাস করতে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ই এর ভুক্তভুগী হচ্ছেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েছে। অনেক দিন ধরেই আমরা এ দাবি করে আসলেও আশানুরুপ কোনা ফল মিলছে না। এর সমাধান দিতেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন ওই অনুষদীয় ডিন। এদিকে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহৃত ফ্যানগুলো দিয়েও গরমের প্রকোপ দূর হচ্ছে না। এজন্য শ্রেণিকক্ষে সুষ্ঠু পড়াশোনার পরিবেশ বিধানের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) প্রয়োজন বোধ করছি আমরা।

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি মাহাথীর সামি বলেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান ও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরি। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতিতে বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অমিমাংসিত থেকে যায়। আজকের বিষয়টির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০ তারিখের সভায় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের ছাত্র সমিতির ৫ জন সেখানে উপস্থিত থাকবে।

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের বিভিন্ন সময় আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। আজকে কিছু বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে, আমি তাদের সমাধান দিয়েছি এবং আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।

ক্লাসরুমের পরিবেশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি তুলেছে তা যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল অংকের বাজেট অনুমোদন হলেও শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ব্যয় ধরা হয় সামান্য। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭৮ কোটি টাকা বাজেটের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতা ও পেনশন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর