টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারি নিহত, মাইক্রোবাস জব্দ

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় অন্তত তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পড়া এলাকার পুরাতন রোহিঙ্গা সুলতান আহমেদ এর ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৬) ও হোয়াইক্যং ঝিমং খালীর জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২৪)।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ থানার সম্মুখ হতে সন্দেহজনক একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় চালক মাহমুদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে রাত ১টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের জিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট সংলগ্ন এলাকায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় ইয়াবা কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

ঘটনাস্থল হতে আরও ১০ হাজার ইয়াবাসহ মোট ১৫ হাজার ইয়াবা, দুটি বন্দুক, গুলি, খালি খোসা ও একটি মাইক্রোবাস (চট্র মেট্রো চ-১১- ৫০৮৯) জব্দ করে পুলিশ। অভিযান শেষে ফেরার সময় বাস স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে জব্দকৃত মাইক্রোবাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে মাইক্রোবাসটি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোনালী ব্যাংক টেকনাফ শাখা কর্তৃক কক্সবাজার যাত্রার জন্য মাইক্রোবাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। চালক সেই সুযোগে পাচারের উদ্দেশ্যে গাড়ীতে ইয়াবা লুকিয়ে রাখে।

বার্তা বাজার / ডাব্লিও.এস