জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে ত্রাণ বিতরণ সমর্থন করিনা- আবিদা আক্তার

ঢাকা মহানগর উত্তর ৫১নং ওয়ার্ডের যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিস আবিদা আক্তার গতকাল ০৪-০৪-২০২০ইং উত্তরা ১১নং সেক্টরের তার নিজস্ব বাসভবনে ত্রাণ বিতরণ করেন।

প্রায় ২০০শত মানুষের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়, যা তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করেন। এ সময় দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন “ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমার এই ত্রাণ বিতরণ সবার জন্য উন্মুক্ত”।

ঢাকা মহানগর উত্তরের ৫১নং ওয়ার্ডের যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আবেদা আক্তার। কলেজ জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে বিশ্বাসী। গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী। বিবাহসূত্রে তিনি উত্তরা ১১নং সেক্টরের বাসিন্দা। তার স্বামী ফিরোজ আলম।পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মিস আবিদা আক্তার ৪৯, ৫০, ৫১নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে একজন প্রার্থী ছিলেন।

অত্র এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে ছিল তার যাতায়াত। সেই সূত্রে তিনি বলেন, এখনো এলাকায় অনেক গরীব, অসহায়, দুস্থ মানুষ আছে। আমাদের সকলের উচিত এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। শুধু ভোটের রাজনীতি নয়, ভোটার আইডি কার্ড দেখেনয়- প্রত্যেক দুস্থ মানুষকে সাহায্য করা উচিত।

যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মিসেস নাজমা আপুর অনুপ্রেরণায় আমার এই পথচলা।আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি। আল্লাহ যতদিন সহায়তা দিবে, অসহায় মানুষের জন্য চাল, ডাল, আলু, লবন, তেল, সাবান, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যাদি সরবরাহ করবো, ইনশাল্লাহ।

আজ মাত্র ২০০প্যাকেট বিতরণ করা হলো গরিব-দুঃখীদের মাঝে। যথেষ্টখাবার মজুদ করেছি। করোনার ভয়াবহতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার এ কর্মসূচী চলবে। আমি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসীনই। জনগণের সেবাই আমার মূল উদ্দেশ্য। তিনি কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান- ভোটার আইডি কার্ড নয়। গরীব অসহায় মানুষের সেবা করুন, সাহায্য দিন।

তিনি সবাই বারবার হাত ধোঁয়া, পরিস্কার পরিছন্ন থাকা ও বাসা থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সুষ্ঠু পরিবেশে তিনি এক এক করে ত্রাণ বিতরণ করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে তিনি এগিয়ে যেতে চান মানব কল্যাণে। তিনি সকল নেতাকর্মী ও সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।সচেতন তাই এই রোগের প্রধান প্রতিষেধক।। তিনি সচেতনতা বাড়াতে সকলকে পরামর্শ দেন।

মিস আবেদা আক্তারের জনপ্রিয়তার নমুনা পাওয়া যায় অসহায় মানুষের ভালবাসা দেখে। উপস্থিত অসহায় মানুষেরা এই নেত্রী রজন্য দোয়া করতে থাকেন। অচিরন বেওয়া(৬০) নামের একজন বলেন- আজ সারাদিন কিছুই খাইনি। এই চাল,ডাল ছাড়া বাসায় খাওয়া হতো না। এলাকার ভোটার নই বলে কেউ আমাদের সাহায্য করে না। আবেদা আপার এমন মহানুভবতায় আমরামুগ্ধ।

এলাকার ভোটার না হলে ত্রাণ পাবেন না, এমনটা যেন না হয়। তিনি সকল কাউন্সিলদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান- ভোটের রাজনীতি নয়, আসুন মানবতার রাজনীতি করি। এদেশকে প্রকৃত সোনার বাংলায় রূপান্তর করি।

কেএ/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর