ভিক্ষুক দম্পতির প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বাড়িওয়ালা

বাব-মা দুজনই ভিক্ষুক। কিশোরী মেয়েটিও প্রতিবন্ধি। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এমনই অসহায় একটি মেয়ে বাড়িওয়ালার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তসত্বা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আটক করা হয়েছে ধর্ষক বাড়িওয়ালা রানা হোসেনকে।

ধর্ষক রানা যশোর শহরের শংকরপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আত্তাবের ছেলে। রানাকে আটকের পর সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের কথা শিকার করলেও পরবর্তীতে আদালতে জবানবন্দি দিতে চায়নি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ অফিসার সুমন ভক্ত জানিয়েছে, অন্তসত্বা কিশোরীর প্রসবের পর ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা গত শুক্রবার রাতে কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজহারে বলেছেন, তারা দুইজন সকালে বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা শহরে ভিক্ষা করে বাড়ি ফিরতেন। ভাড়ায় থাকা বাড়িতে একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে রেখে যেতেন। একা থাকার সুযোগে বাড়ির মালিক রানা তার মেয়েকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টা গোপন রাখতে বলেন।

এক পর্যায় কিশোরীর পেট উচু দেখে তার মা বাবা তাকে বিষয়টি জ্ঞিাসাবাদ করলে সে জানায় রানা হোসেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইতিপূর্বে ১০/১২ বার ধর্ষন করেছে। পরে রানা হোসেনকে বিয়ের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তাদেরকে মারপিটসহ বাড়ি হতে চলে যাওয়ার হুমকী দেয়।

পুলিশ রানা হোসেনকে গ্রেফতার করে থানায় আনার পর সে সব স্বীকার করে। পরে তাকে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে জবানবন্দি প্রদান করার কথা বলে সে অস্বীকার করে। তবে কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারা জবানবন্দি সম্পন্ন করেছেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর