সরকারি আদেশও মানতে হইব, পেটটাও চালাইতে হইব

পিপীলিকার মতো দলে দলে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গার্মেন্টস খোলার ঘোষনয় সরকারি নির্দেশনা ভেঙে শনিবার (৪ এপ্রিল) রাত থেকে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে দেখা গেছে শত শত শ্রমিকের ভীড়। এদের অধিকাংশই ভেঙে ভেঙে দুর্ভোগের মধ্যে ফিরছেন ঢাকার পথে।

শেরপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল এর মধ্যেই অলি গলিতে কুকিয়ে থাকে। বাস, ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্স আসলেই সেগুলোতে উঠে ফেরার চেষ্ট করছে কর্মস্থল ঢাকায়। এ স্রোত ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনসৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

কাজীপুর ধুনট থেকে শেরপুর ধুনটমোড় এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকা একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিক মর্জিনা খাতুন, আঞ্জুমান আরা, কফিল উদ্দিন বলেন, ঘরে থাকমু হাতে কোনো টাকা পয়সা নাই। আবার চাকুরীতে না গেলে চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে দেবে। সরকারের আদেশও মানতে হইব আবার পেটটাও বাঁচাতে হইব। অনেক কষ্টে ঢাকা ফিরতাছি। গার্মেন্টসে পৌঁছাতে পারলেই বেতন পামু।

শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর জানান, একদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমাদের পথে নামানো হয়েছে। অন্যদিকে আবার পোশাক তৈরির কারখানা খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছিনা আমাদের কি করা উচিত।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ জানান, প্রশাসনের তৎপরতার কারণে ঢাকা ফেরত অসংখ্য মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় অনেক বাস, ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্সের জরিমানাও করেছি। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না গার্মেন্টস খোলা রাখায় তারা কোন কিছুই মানছেনা।

বার্তা বাজার / ডাব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর