আরও উদ্ধার ৩২ বস্থা সরকারি চাল

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অতিদরিদ্র মানুষদের জন্য বরাদ্দ সরকারি চালের বস্তা একেরপর এক চুরি হছে। এবার মৌলভিবাজারের বড়লেখায় এক লাকড়ি দোকান থেকে উদ্ধার হলো ৩২ বস্তা চাল। ইউএনও শামীম আল ইমরান এই চালগুলো উদ্ধারের সময় আটক করেছেন লাকড়ি ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসকে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আটক প্রদীপ দাস উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মিহারী গ্রামের মেম্বার সুবোধ দাসের ভাই ।

জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় অতি দরিদ্র মানুষদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল বরাদ্দ করে। বড়লেখার বর্ণী ইউনিয়নের ডিলার করা হয় আব্দুস সাত্তারকে। তিনি খাদ্য গুদাম থেকে গত ১০ মার্চ ৭ টন চাল উত্তোলন করে আনেন। কিন্তু সব চাল কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি না করে অবৈধভাবে লাকড়ি ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের কাছে বিক্রি করেন।

জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মেম্বার সুবোধ চন্দ্র দাসের ভাই ও মিহারী গ্রামের মৃত সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে। অভিযোগ রয়েছে সরকারের চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের ডিলার আব্দুছ ছাত্তার গত মাসের বরাদ্দের চালের সিংহভাগ হতদরিদ্রদের না দিয়ে প্রদীপ দাসের নিকট বিক্রি করেছেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইউএনও শামীম আল ইমরান প্রদীপ দাসের দোকান থেকে এই চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করেন।

আটক ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস ও তার ভাই ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ দাস বলেন, ভিজিডি কর্মসুচির উপকারভোগী মহিলারা চালগুলো বিক্রি করেছে। তবে কোন কোন ভিজিডি ভোগী মহিলা চাল বিক্রি করেছে জানতে চাইলে কারা একজনেরও নাম বলতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান বলেন, সরকারী চাল কোন দোকানে রাখা ও ক্রয়-বিক্রয় করার নিয়ম নেই। জ্বালানী কাঠের দোকান থেকে বিক্রয় নিষিদ্ধ ৩২ বস্তা সরকারী চাল উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক সুত্রধরের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রদীপ দাসকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিনুল হক।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর