কলাপাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা, নির্যাতনকারী গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নজিবপুর গ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১১) যৌণ হয়রানি ও গভীর রাতে সালিশে দশ ঘা বেত্রাঘাত দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বুধবার রাতে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে অভিযুক্ত নিপীড়ণকারী দুই সন্তানের জনক কামাল বেপারী ও সালিশদারদের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এ ঘটনায় কামাল বেপারীকে গ্রেপ্তার করলেও পলাতক রয়েছে সালিশদার ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহান ও তার সহযোগীরা।

গত গত সোমবার বিকালে নজিবপুর গ্রামের প্রতিবেশী কালাম বেপারীর বাসায় টেলিভিশন দেখতে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় বাসায় স্ত্রীর অনুপস্থিতে জোড়পূর্বক যৌণ হয়রাণী করে কালাম।

স্কুল ছাত্রী এঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানালে তারা ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহানের কাছে নালিশ দেন। এ ঘটনার ফয়সালা দিতেই রাতের আঁধারে তার বাড়ির বৈঠকখানায় এ সালিশের আয়োজন করে।

সালিশে ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহান, ফুল গাজী, তোতা সরদার, কাসেম ফকির, ব্যবসায়ী সুমন, শাহালম মাঝিসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

সালিশদাররা সালিশে কালামকে এ ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত করে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও দশ ঘা বেত্রাঘাত দেয়া হয়।

তবে মাদ্রাসা ছাত্রীর মা এ বিচারে খুশি হননি। সালিস বৈঠকের বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভাইরাল হলে গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে পুলিশ বুধবার কালামকে আটক করে।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌণ নিপীড়ণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর পিতা মামলা করেছে। এ মামলার প্রধান আসামী কালামকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।

কেএ/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর